fbpx
দেশহেডলাইন

‌‘‌কংগ্রেসকে শেষ করতে সোনিয়া-রাহুলই যথেষ্ট,‌’‌ কটাক্ষ বিজেপি সাংসদ সাক্ষী মহারাজের

যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক:   সভাপতি নির্বাচন নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে কংগ্রেসে। দলীয় নেতৃত্বের প্রতি কয়েকজন সিনিয়র নেতা অনাস্থা আনেন বলে অভিযোগ ওঠে।কংগ্রেসের এই অন্তর্কলহের জন্য সরাসরি গান্ধী পরিবারকে দায়ী করেছেন বিজেপি সাংসদ সাক্ষী মহারাজ। তাঁর মতে, কাউকে কিছু না করলেও চলবে। কারণ, সনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীই কংগ্রেসকে শেষ করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। শুধু তাই নয়, দেশে বিজেপির কোনও প্রতিপক্ষ নেই বলেও দাবি করেন  তিনি।

কংগ্রেস প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে সাক্ষী মহারাজ  বলেন, ‘‌‘‌কংগ্রেস ডুবছে। আর সেটা হচ্ছে তাঁদের নিজেদের জন্যই। এখানে আমাদের কিছুই করার নেই। কংগ্রেসকে শেষ করতে সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীই যথেষ্ট। অন্য কারওর কোনও প্রয়োজন নেই।’এর পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের রাজনীতি নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। জানান, দেশের মধ্যে সেরা মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এছাড়া খুব শীঘ্রই যে অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরি হয়ে যাবে, সে ব্যাপারেও আশাপ্রকাশ করেন বিজেপি সাংসদ।

এর পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের রাজনীতি নিয়ে তিনি জানান, দেশের মধ্যে সেরা মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এছাড়া খুব শীঘ্রই যে অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরি হয়ে যাবে, সে ব্যাপারেও আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি। অন্যদিকে, কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন একাধিক বিজেপি নেতা–মন্ত্রী। এই বিষয় মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান জানিয়েছেন যে, দলে শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে অন্য দলের  সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ ওঠে, সেই দলকে কেউ বাঁচাতে পারবে না। অন্যদিকে, উমা ভারতীর মন্তব্য, গান্ধী–নেহরু পরিবারের অস্তিত্ব বিপন্ন। তাঁদের রাজনৈতিক প্রভাব আর নেই বললেই চলে। কংগ্রেসের উচিত কোনও ‘‌বিদেশি‌ তত্ত্বের’ বদলে আসল স্বদেশী গান্ধীতে ফিরে আসা।

আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ

তাঁদের রাজনৈতিক প্রভাব আর নেই বললেই চলে। কংগ্রেসের উচিত কোনও ‘‌বিদেশি‌ তত্ত্বের’ বদলে আসল স্বদেশি গান্ধীতে ফিরে আসা। যদিও কংগ্রেসের বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনও মন্তব্য করতে চাননি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তাঁর সাফ বক্তব্য, এটা কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তিনি বিজেপি কর্মী। এব্যাপারে কোনও মন্তব্য করবেন না। ‌

সভাপতি নির্বাচন নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে কংগ্রেসে। সোানিয়া গান্ধী পদে থাকতে অনীহা প্রকাশ করার পরেও আরও ৬ মাস তাঁকেই দলের সভানেত্রীর কাজ চালিয়ে যেতে আবেদন করেছে হাইকম্যান্ড। পরের ৬ মাসের মধ্যে নতুন কাউকে সভাপতি পদে খুঁজে নেবে দল। কংগ্রেস সভানেত্রীর পদে থাকতে না চাওয়ার কথা বারবার হাইকম্যান্ডকে বলে আসছেন সোনিয়া গান্ধী। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সভাপতি পদে কাউকেই খুঁজে পায়নি দল। দলের অধিকাংশ নেতা রাহুলকে কংগ্রেস সভাপতি পদে দেখতে চাইলেও খোদ রাহুলেরই তাতে আপত্তি।বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও দাদার সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত। গান্ধী পরিবারের বাইরের কারও কংগ্রেস সভাপতির পদে বসা উচিত বলে মনে করেন সোনিয়া-রাহুল-প্রিয়াঙ্কা গান্ধীরা।

 

Related Articles

Back to top button
Close