শরণানন্দ দাস,কলকাতা: বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সনিয়া গান্ধীর আহ্বানে ৭ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকের পর রাজ্য রাজনীতিতে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। তথ্যাভিঞ্জ মহল মনে করছে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে বিরোধী মুখ হয়ে উঠতে চাইছেন মমতা। এ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহার কটাক্ষ, ‘ একুশে গদি থাকবে না বুঝে সনিয়া গান্ধীর কাছে নতুন চাকরি চাইছেন মমতা।’
ঘটনা হল বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সোনিয়া গান্ধীর সখ্যতা রাজনীতির কারবারিদের নজর এড়ায় নি। সনিয়া নিজের বক্তব্য শেষ হতেই মমতার হাতে বৈঠকের দায়িত্ব তুলে দিলেন । আবার মমতাও একই কাজ করলেন নিজের বক্তব্য শেষ হওয়ার পরেও। বিজেপি বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রীদের প্রায় পৌনে দুই ঘন্টার বৈঠক সনিয়া মমতা একসঙ্গে পরিচালনা করলেন। দুজনের এই বোঝাপড়া নিয়ে রাজনৈতিক মহল মনে করছে এদিন থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২৪ এর সলতে পাকানো শুরু করলেন।
বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অবশ্য এরমধ্যে নতুন কিছু দেখছেন না। তিনি বলেন, ‘ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেওয়াল লিখন পড়ে ফেলেছেন। বুঝে গিয়েছেন একুশে আর আশা নেই তাই সনিয়ার চাকরি প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী। নিজের দলের অশান্তি নিয়ে সোনিয়া বিব্রত। সেই সুযোগটাই নিতে চাইছেন মমতা।’ এরপরই তিনি বলেন, ‘ মোদি বিরোধী জোটের নেত্রী হওয়ার স্বপ্ন এর আগেও দেখেছিলেন। ব্রিগেডে সভা করে বিরোধী জোটকে এককাট্টা করার চেষ্টা করেছিলেন। ১৮ টা আসন হারিয়ে মুখে চুনকালি পড়েছিল।’
আরও পড়ুন:JEE ও NEET পিছনোর দাবি, শুক্রবার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি TMCP’র
বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের নীতির বিরুদ্ধে মানুষের স্বার্থে এককাট্টা হওয়ার ডাক দেন। হুমকির সুরে বলেন, ‘ আমাদের যদি ওরা গ্রেফতার করতে চায়, আমরা গ্রেফতার হবো। আমাদের ঝুঁকি নিয়েই হবে।’ এ প্রসঙ্গে রাহুল সিনহার টিপ্পনি, ‘ চোর নিয়ে ঘর করলে পুলিশের ভয় থাকেই। তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই, সবাই সব জানে। তাই এইসব গরম গরম কথা বলে মনোবল বাড়ানো ছাড়া দ্বিতীয় কোন রাস্তা থাকে না।’