মমতার পাড়ায় ‘ অন্যায়’ খুঁজতে আসছেন নাড্ডা

শরণানন্দ দাস, কলকাতা: খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড়ে হানা দিচ্ছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে.পি. নাড্ডা। মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরের কোনও একটি পাড়ায় সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি ঘুরে ‘ আর নয় অন্যায়’ এর লিফলেট বিলি করবেন নাড্ডা। তৃণমূলের ব্যর্থতার ফিরিস্তি লেখা থাকবে লিফলেটে। গিরিশ মুখার্জি রোডের কয়েকটি বাড়ি ঘোরার পর দলীয় কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্ন ভোজন করবেন। যোগ দেবেন ‘ চায়ে পে চর্চাতেও’। ওই দিনই আইসিসিআরএ বিজেপির বস্তি উন্নয়ন সেল ও ভোট পরিচালনা কমিটির নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। পরের দিনই হানা দেবেন তৃণমূলের ‘যুবরাজ’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভা কেন্দ্র ভায়মণ্ড হারবারে।
ঘটনা হলো একুশের যুদ্ধে বিজেপির আক্রমণের মূল লক্ষ্য তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে এবারের সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী কেন্দ্রে হাজির করছে। রাজ্য বিজেপি নেতাদের দাবি ডিসেম্বরের শুরুতে দলীয় সভাপতির জোড়া হামলা রক্তচাপ অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে তৃণমূলের।
আগামী ৮ তারিখ রাজ্যে দু দিনের সফরে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। ওইদিনই ভবানীপুরে বাড়ি বাড়ি ঘুরে ‘গৃহ সম্পর্ক’ অভিযানে অংশ নেবেন। যোগ দেবেন ‘ চায়ে পে চর্চাতেও। প্রসঙ্গত ২০১৭ য় কলকাতা সফরে এসে ভবানীপুরে বস্তি অঞ্চলে গিয়েছিলেন তৎকালীন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে ভবানীপুর বিধানসভায় মাত্র ৩ হাজার ১৬৮ ভোটের ব্যবধানে বিজেপির চেয়ে তৃণমূল এগিয়ে ছিল। ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৮ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৬ টিতে এগিয়ে ছিল বিজেপি। এই প্রেক্ষাপটে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে জে.পি. নাড্ডার ভবানীপুরে আসাটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
পরের দিন ৯ ডিসেম্বর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে গিয়ে ‘ গৃহ সম্পর্ক অভিযান’ করবেন। স্থানীয় মৎস্যজীবীদের সঙ্গে কথা বলবেন। একজন মৎস্যজীবীর বাড়িতে মধ্যাহ্ন ভোজন সারবেন। শাসকদলের ‘ দুয়ারে সরকার’ এর পাল্টা কর্মসূচি হিসাবে ‘ আর নয় অন্যায়’ কর্মসূচি নিয়ে ঝাঁপিয়েছে গেরুয়া শিবির। অভিযান শুরুর দিন শনিবার বাংলায় ছিলেন তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এঁরা হলেন গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত, মনসুখ এল মাণ্ডভিয়া ও অর্জুন মুণ্ডা। বিজেপি সূত্রে খবর আগামী ১৫ দিনে আরও একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা মন্ত্রীকে পাড়ায় পাড়ায়, বাড়িতে বাড়িতে লিফলেট হাতে প্রচারে দেখা যাবে।