সৌমিত্রের মৃত্যু বাংলার সমাজ জীবনের চরম ক্ষতির সমান: প্রদীপ ভট্টাচার্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রবিবাসরীয় সকালে হঠাৎ করেই নক্ষত্রপতন। শেষ হল এক স্বর্ণ যুগের। ৮৫ বছর বয়সে রবিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বাংলার তথা ভারতের চলচ্চিত্র জগতের কিংবদন্তী নায়ক সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তাঁর মৃত্যুতে এদিন শোকবার্তা জানান কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য।
এদিন তাঁর মৃত্যুর পরেই এক ভিডিওবার্তায় শোক জানান মুকুল বাবু। শোক জানিয়ে তিনি বলেন, “সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় তিনি আজ আমাদের মধ্যে নেই। বাংলা সংস্কৃতিক জগতের বিপুল ক্ষতি হয়ে গেল। সংস্কৃতি জগতের তিনি মহীরুহ ছিলেন। তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন যে কোন পরিচালকের হাতেই পরুন না কেন তিনি অনবদ্য। এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তাই একথা নিঃসন্দেহে বলা চলে তার প্রতিভা ছিল বহুমুখী”।
প্রদীপ বাবু আরও বলেন, “ তাঁর মৃত্যু বাংলার সমাজ জীবনের চরম ক্ষতির সমান। পরিবারবর্গের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। আমি তার পরিবার পরিজনদের বলবো তিনি যা দিয়ে গেছেন আপনারা আগামী তরুণ প্রজন্মকে সে শিক্ষাটা দিন। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি তার আত্মা যেন শান্তি লাভ করে”।
এদিন অভিনেতার মরদেহ বেলভিউ হাসপাতাল থেকে দুপুর ২ টো নাগাদ প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় অভিনেতার গল্ফ গ্রিনের বাড়িতে। গল্ফ গ্রিন থেকে অভিনেতার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে। সেখান থেকে ৩.৩০ নাগাদ অভিনেতার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় রবীন্দ্রসদনে। ৫.৩০ পর্যন্ত রবীন্দ্রসদনে ছিল অভিনেতার মরদেহ। সেখান থেকে পদযাত্রা করে সুরক্ষা দূরত্ব বজায় রেখে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্যর জন্য নিয়ে যাওয়া হয় অভিনেতা মৃতদেহ। সন্ধ্যা ৬ টা থেকে সাড়ে ৬ টা নাগাদ গান স্যালুটে সম্মান জানিয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় অভিনেতার।