‘মণিপুরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ঘটনা’, দুর্গতস্থল পরিদর্শন করে মন্তব্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের
উদ্ধারকাজে ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যাধুনিক র্যাডার, সহজেই চিহ্নিত করা যাবে ধসে আটকে থাকা মানুষদের

যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্ক: ভূমিধসে মৃত্যুমিছিলে পরিণত হয়েছে মণিপুর। আরো ৮ জনের দেহ উদ্ধার হল। সেনা, অসম রাইফেলস, টেরিটোরিয়াল সেনা, এইডিআরএফ, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক একযোগে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।
গতকালই সেনা ও স্থানীয় মানুষদের নিয়ে কমপক্ষে ৮১ জনের প্রাণহানির ঘটনা আরও আতঙ্ক বাড়িয়ে তুলেছে। তবে শনিবার রাতে ফের ৮ জনের দেহ উদ্ধার হওয়ায় সেই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেল।
তবে প্রশাসনের বক্তব্য, এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। নোনি জেলার টুপুল রেলস্টেশনের কাছে ভারতীয় সেনার ১০৭ টেরিটোরিয়াল সেনাক্যাম্প ধসে চাপা পড়ে যায়। সেই ঘটনায় ১৮ জন জওয়ান-সহ ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেনা মুখপাত্রের বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এখনও ৩৮ জন নিখোঁজ। জোরকদমে চলছে উদ্ধারকার্য। অসম রাইফেলস, টেরিটোরিয়াল আর্মি এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী একযোগে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। তবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। বুলডোজার, স্নিফার ডগ এনে নিখোঁজদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। শুক্রবারই উদ্ধারকার্য স্থল পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং।
তিনি বলেছেন, ‘‘মণিপুরের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ ঘটনা। ৮১ জনকে আমরা হারিয়েছি। যাঁদের মধ্যে ১৮ জন টেরিটোরিয়াল আর্মির জওয়ান। প্রায় ৫৫ জন এখনও ধ্বংসস্তূপে আটকে রয়েছেন। মৃতদেহগুলি উদ্ধার করতে আরও দু’তিন দিন সময় লাগবে।’’
উদ্ধারকাজে সাহায্যের জন্য জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও সেনা জওয়ানদের পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
ভারতীয় সেনার তরফে বলা হয়েছে, ‘‘টেরিটোরিয়াল আর্মির জওয়ানদের দেহ সসম্মানে তাঁদের বাড়িতে পাঠানো হচ্ছে। এখনও ১৫ জন জওয়ানের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। নিখোঁজ ২৯ জন বাসিন্দাও। তাঁদের উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে।’’
ডেপুটি কমিশনার হাউলিয়ানলাল গুইট জানিয়েছেন, শনিবার ভারী বৃষ্টির জেরে ফের ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। উদ্ধারকারী দলকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে প্রায় ৪০০ জন উদ্ধারকারী। উদ্ধারকারীরাও অত্যাধুনিক র্যাডার ব্যবহার করছে। যার মাধ্যমে ভিতরে আটকে থাকা মানুষকে সহজে চিহ্নিত করা যাবে। রাজ্যের মন্ত্রী পীযুষ হাজারিকা এদিন দুর্গতস্থল পরিদর্শন করেন।