
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নিট ও জয়েন্ট পরীক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত পরিবহন ও থাকার ব্যবস্থা রাজ্যগুলিকে করতে হবে। দেশের সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। রবিবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ কথা জানায় এবিভিপি।
এ প্রসঙ্গে এবিভিপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদিকা সুশ্রী নিধি ত্রিপাঠি বলেন, ‘লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী এই নিট ও জয়েন্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন। তাই অতি শীঘ্রই সকল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে সমস্ত পরীক্ষার্থীদের জন্য যাতায়াত ও থাকার সু-ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের বিষয়ে উড়িষ্যা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর গৃহীত সিদ্ধান্ত যথেষ্ট প্রশংসনীয় ও অনুকরণযোগ্য।এছাড়াও এবিভিপিও একটি দায়িত্বশীল ছাত্র সংগঠন হয়ে নিট ও জয়েন্ট পরীক্ষার্থীদের সুবিধা-অসুবিধার কথা মাথায় রেখে সমস্ত ভারতজুড়ে হেল্পলাইন নম্বর ঘোষণা করেছে।’
উল্লেখ্য, মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট ছাত্র হিতের কথা মাথায় রেখে নিট ও জযেন্টের মত সর্বভারতীয় পরীক্ষা নির্দিষ্ট সময়ে গ্রহণ করার কথা বলেছেন। তাই সুপ্রিম কোর্টের রায়কে সম্মান জানিয়ে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ দেশের সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই আবেদন জানায়। কারণ লকডাউন ও করোনা পরিস্থিতিতে জনসাধারণের যে পরিবহন ব্যবস্থা তাতে বিভিন্নরকম বিধিনিষেধের ফলে পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতে বিভিন্ন রকম সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও যাতে কোন প্রকার বিড়ম্বনার মধ্যে না পড়ে সেই জন্য তাদের ব্যবস্থাও রাজ্যে সরকারগুলোকে সুনিশ্চিত করার আবেদন জানায়। এবিভিপি বিজ্ঞপ্তিতে বলে, ‘আমার আশা করি দেশের প্রতিটি রাজ্য সরকার করোনা পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষাকেন্দ্র গুলিকে নিরাপদ গড়ে তুলতে ও সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। কিন্তু ঘটনাচক্রে দেখা যাচ্ছে এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অবস্থান যথেষ্ট উদ্বেগজনক।কারণ সুপ্রিম কোর্টের রায়কে মান্যতা দিয়ে বিভিন্ন রাজ্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার এখনও পর্যন্ত তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি।’
এবিষয়ে দক্ষিণবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক শ্রী সুরঞ্জন সরকার বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকার যেভাবে পরীক্ষার আগে ও পরে লকডাউন ঘোষণা করে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছানোর রাস্তা বন্ধ করেছে তাতে প্রমাণ করে এই সরকার সম্পূর্ণভাবে ছাত্রবিরোধী সরকার। যদি পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাদের ঘোষিত লকডাউনের দিন প্রত্যাহার ও পরিবর্তন না করে এবং তাদের এই ছাত্রবিরোধী অবস্থানের জন্য যদি রাজ্যের একটি ছাত্রও তার পরীক্ষা দেওয়া থেকে বঞ্চিত হয় তাহলে তার জন্য সম্পূর্ণ ভাবে দায়ী থাকবে বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ সরকার।“