শক্তিশালী টাইফুন ‘হিন্নামনর’, আতঙ্কের প্রহর গুণছে জাপান, বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রস্তুত সরকার

যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্ক: শক্তিশালী টাইফুনের আতঙ্কে কাঁপছে জাপানবাসী। বর্তমানে সুপার টাইফুন ‘হিন্নামনর’ পূর্ব চিন সাগর জুড়ে শক্তি বাড়িয়ে তুলছে। চরম বিপর্যয়ের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপগুলি এবং চিনের পূর্ব উপকূল জুড়ে। দক্ষিণ এশিয় আরও বেশ কয়েকটি দেশে তাণ্ডব চালানোর আশঙ্কায় প্রস্তুত থাকতে বলা হয়ে বাহিনীকে।
১৯৫৮ সালের পর ফের বিধ্বংসী টাইফুনের আতঙ্কে প্রহর গুনছে জাপান বাসী।
জাপানের আবহাওয়া দফতর এবং টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার জানিয়েছে, সুপার টাইফুন হিন্নামনর ল্যান্ড ফল করবে খুব বিধ্বংসী রূপে। দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ঝঞ্ঝা বিধ্বস্ত এলাকায় দ্রুত ত্রাণ ও পূনর্বাসন বিষয়ক সব কিছু প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন জাপান সরকার। জাপান আবহাওয়া সংস্থার একজন কর্মকর্তার দাবি, ‘হিন্নামনর’ই ২০২২ সালের সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় হতে চলেছে। বর্তমান সময়ে রেকর্ড করা সর্বোচ্চ বাতাসের গতি অন্তত তাই বলছে। হংকং অবজারভেটরি জানিয়েছে, বুধবার সকাল ১০টায় টাইফুনটি জাপানের ওকিনাওয়া দ্বীপ থেকে প্রায় ২৩০ কিলোমিটার পূর্বে রয়েছে। তাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় প্রায় ২২ কিলোমিটার বেগে পশ্চিম – দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রিউকিউ দ্বীপের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তবে, মার্কিন যৌথ টাইফুন সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিনে কিছুটা হলেও শক্তি হারাবে এই ঘূর্ণিঝড়। ইতিমধ্যেই এই ঝড়ের প্রভাবে বাতিল হতে শুরু করেছে উড়ান। জাপান এয়ারলাইন্স কোম্পানি ওকিনাওয়া দ্বীপ থেকে বিমানের অবতরণ এবং ওড়া, দুই বাতিল করেছে।
হিন্নমনরকে প্রতি মুহূর্তে নজরে রাখতে গভীর সমুদ্রে জাপান সরকার তিনটি রণতরী মজুত রেখেছে। এছাড়াও হান্নামনরের গতিপথের দিকে খেয়াল রাখছে নাসার ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নোয়া)-র পাঠানো সুয়োমি এনপিপি স্যাটেলাইট।
অসহায় জাপানবাসীর জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করার জন্য বিশ্ববাসীর কাছে আহ্বান জানিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী। জাতীর উদ্যেশ্যে এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, হিন্নামন মোকাবিলা করা আমাদের এক মাত্র লক্ষ্য। ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখুন, পরিবারকে কাছে রাখুন। প্রশাসন সতর্ক আছে।