
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ময়নাতদন্তের আগেই পুলিশ কী ভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলে দিচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। উত্তর দিনাজপুরের বিজেপি বিধায়কের রহস্যমৃত্যু ঘিরে তুমুল চর্চা রাজ্য রাজনীতিতে।এই পরিস্থিতিতে রাজ্য প্রশাসনের অস্বস্তি বাড়িয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধানকর। সোমবার টুইট করে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন ময়নাতদন্তের আগে পুলিশ কি করে বলে বিজেপি বিধায়ক আত্মহত্যা করেছেন।
তিনি টুইটে স্পষ্ট লিখেছেন, ‘ হেমতাবাদের বিধায়কের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার নিয়ে পুলিশ দাবি করেছে আত্মহত্যা। এটা ধামাচাপা দেওয়ার ইঙ্গিত। নিশ্চয় কোন উদ্দেশ্য আছে।’ একইসঙ্গে ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফির দাবি করেছেন তিনি। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘ বিশেষজ্ঞ দলের উপস্থিতিতে সুপ্রিমকোর্টের রায় অনুযায়ী মৃত বিধায়কের ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফি করতে হবে।’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে টুইটে তিনি আরও লিখেছেন, ‘ রাজ্যে হিংসা, প্রতিহিংসা কমছে না। বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যু খুনের তত্ত্বের পাশাপাশি অন্যান্য গুরুতর বিষয়গুলো তুলে ধরলো। এই ঘটনার সত্যতা প্রকাশ্যে আনতে নিরপেক্ষ তদন্তের প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: করোনা আবহে আগামী ১৯ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ থাকবে কলকাতা হাইকোর্ট
তদন্তের আগে আত্মহত্যা বলে দেওয়া রাজ্য পুলিশের নতুন কোনও ঘটনা নয়। গত পঞ্চায়েত ভোটের পর জুন মাসের গোড়ার দিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পুরুলিয়ার বলরামপুরে তিন বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। কারও দেহ মিলেছিল গাছের ডাল থেকে, কারও আবার হাইটেনশন লাইনের পোস্ট থেকে। সেই সময়ে দুলাল কুমারের দেহ ল্যাম্পপোস্ট থেকে নামানোর আগেই তত্কালীন পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার জয় বিশ্বাস বলে দিয়েছিলেন, এটা আত্মহত্যার ঘটনা। কী ভাবে ময়নাতদন্তের আগে তিনি ওই মন্তব্য করলেন তা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন ওঠে। বিজেপি নেতারা সরাসরি অভিযোগ করেন, পুলিশ সুপার জয় বিশ্বাস উর্দি গায়ে সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের ক্যাডারের ভূমিকা পালন করছেন। চাপ এতটাই বাড়তে থাকে যে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুরুলিয়ার পুলিশ সুপারকে সরিয়ে দেয় নবান্ন।