মহাপ্রলয়ের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন সুন্দরবনবাসী, উপকূল থেকে সরানো হয়েছে কয়েক লক্ষ মানুষকে
নিজস্ব প্রতিবেদক, সুন্দরবন: ফণীর ক্ষত তাজা, আমফান নিয়ে অনেক সতর্ক দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন, উপকূল থেকে সরানো হচ্ছে লক্ষাধিক মানুষকে।
সময় যত এগোচ্ছে দূরত্বও কমে আসছে একটু একটু করে। ঝড়ের বেগেই এগিয়ে আসছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফান। এই মুহূর্তে দিঘা থেকে আমফানের দূরত্ব ২০০ কিলোমিটার। পারাদ্বীপ থেকে ১২০ কিলোমিটার। বুধবার বিকেলের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আছড়ে পড়ার কথা আমফানের। তার প্রভাবে সুন্দরবনে উপকূলেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গেই দেখা যাবে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। সকাল থেকেই অবশ্য তার প্রভাব শুরু হয়ে গেছে। রাজ্যের কয়েকটি জায়গায় শুরু হয়েছে তুমুল বৃষ্টি। মাঝে মাঝেই ফুঁসে উঠছে সমুদ্র। উপকূলবর্তী এলাকা থেকে লোকজনকে সরানোর কাজও শুরু হয়ে গেছে। যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ, নামখানা,গোসাবা,বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ এলাকায় এই ঝড়ের তান্ডব চলতে পারে।।তাই ঝড়ের পুর্বেই স্বাভাবিক ভাবে কিছুটা হলেও ভয়ে রয়েছে এই সকল এলাকার সাধারণ মানুষ। ইতিমধ্যে গোসাবা সহ একাধিক এলাকায় ফেরি ঘাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।।ইতিমধ্যেই আমপানের প্রভাব পড়েছে ওড়িশার পারাদ্বীপ সংলগ্ন এলাকায়। সেখানে প্রবল ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পারাদ্বীপে প্রতি ঘণ্টায় ৯৬ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইছে।
ঝোড়ো হাওয়া বইছে ভুবনেশ্বর, চাঁদবলী, বালেশ্বর, পুরী এবং গোপালপুরেও। বালেশ্বর এবং ভুবনেশ্বরে ঝড়ের গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ৪১ কিলোমিটার। অন্যদিকে মহাপ্রলয়ের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে সুন্দরবনবাসি।