
অরিজিৎ মৈত্র: সত্যজিৎ, ঋত্ত্বিক, মৃণাল, ভারতীয় চলচ্চিত্রের তিন মহেশ্বরের সঙ্গে তাঁর নাম উচ্চারণ? নৈবঃ নৈবঃ চ। তাঁর ছবি যতই প্রশংসা অর্জন করুক না কেন, সে সব নিয়ে বাড়াবাড়ি করার দরকার নেই। ফিল্ম সোসাইটি আন্দোলনে এই তিন মহেশ্বরের নামের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করো ফেলিনি, গদার, ত্রুফো, বিলি ওইলডার, কুরোসোয়া, এঁদেরকে নিয়ে।
সন্দীপ রায়ের কাছে তপন সিংহ সংক্রান্ত বইয়ের জন্য সাক্ষাৎকার নিতে গেলে তিনি বলেছিলেন, দূরদর্শনে যখন ‘আদমি অউর অউরাত’ দেখানো হচ্ছিল তখন ছবিটি দেখার জন্য সত্যজিৎ স্বয়ং উত্তেজিত হয়ে ফোনের পরে ফোন করে চলেছিলেন বিদেশি চলচ্চিত্র পরিচালকদের। তাতেও তথাকথিত চলচ্চিত্রবোদ্ধাদের বোধদোয় হয়নি। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের নিরীখে সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে তপনবাবুর পাওয়া পুরস্কারের সংখ্যা বিচার করলে দেখা যাবে মাত্র একটা কম। জলসাঘর ছবিতে বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী রোশনকুমারীর অংশগ্রহণ নিয়ে হই হই রই রই ব্যাপার হয়েছিল। কিন্তু তপনবাবুর ‘সাগিনা মাহাতো’ ছবিতে রোশনকুমারীর নৃত্যপরিচালনার বিষয়টা কারোর চোখে ধরা পড়েনি।

সত্যজিৎ, ঋত্ত্বিক, মৃণাল নিঃসন্দেহে গুণি পরিচালক। তাঁদের সৃষ্টিকে কোনওভাবেই ছোট করে দেখার কোনও অবকাশ বা ইচ্ছেও নেই কিন্তু বাংলা তথা ভারতীয় চলচ্চিত্রে এই তিনজন ছাড়াও তো আরও অনেক সফল চিত্রনির্মাতাদের জন্ম হয়েছিল। তাহলে তাঁদের কাজের খবর রাখার দায় ফিল্ম আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের থাকবে না কেন? অজয় কর, অসিত সেন, সুধীর মুখোপাধ্যায়, বিমল রায়, অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়, অরুন্ধতী দেবী, তরুণ মজুমদার প্রমুখের বিষয় কোনও আলোচনা কানে আসে না।

চল্লিশটা বৈচিত্রময় পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছায়াছবি তৈরি করার পরে একদম জীবনসায়াহ্নে এসে তপন সিংহের কপালে জুটেছিল সরকারি স্তরের দুটি গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার। হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে এসে তাঁকে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গে তৎকালীন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধি এবং সেই সময়ে ভারত সরকারের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয়মন্ত্রী প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সি। আরও কিছুদিন পরে তাঁকে দেওয়া হয়েছিল ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মান ‘দাদা সাহেব ফালকে’। দিল্লিতে গিয়ে সেই পুরস্কার নেওয়ার মত শারীরিক ক্ষমতা তখন তাঁর ছিল না। তাঁর পুত্র অনিন্দ্য সিংহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিলের হাত থেকে সেই পুরস্কার গ্রহণ করেন।

সত্যজিৎ রায়, ঋত্ত্বিক ঘটক আর মৃণাল সেন সরাসরি চলচ্চিত্র পরিচালনার মাধ্যমেই তাঁদের চলচ্চিত্রজীবন শুরু করেন। অন্যদিকে তপন সিংহ, হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়, বিমল রায়, অজয় কর, অসিত সেন সকলেই প্রথমে ছিলেন টেকনিক্যাল পার্সন। বিমল রায়, অজয় কর, অসিত সেন ছিলেন চিত্রগ্রাহক। হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায় ছিলেন সম্পাদক এবং তপনবাবু ছিলেন শব্দযন্ত্রী। পরে এঁরা ছবি পরিচালনার কাজের সঙ্গে যুক্ত হন। তপন সিংহ শ্রাবণের এক বৃষ্টিঝরা বিকেলে নিউ থিয়েটার্স স্টুডিওতে সে সময়ের বিখ্যাত শব্দযন্ত্রী বাণী দত্তের সহকারি হিসেবে যোগ দেন। গিয়েছিলেন লন্ডনের পাইনউড স্টুডিওতে কাজ করতে। ক্যালকাটা মুভিটোন স্টুডিওতেও বেশ কিছুদিন কাজ করেন। সেই সময়ে সেখানে যাতায়াত করতেন মৃণাল সেন, অজয় কর প্রমুখ। ক্যালকাটা মুভিটোন যে জমির ওপর তৈরি হয়েছিল, তার মালিক ছিলেন কানন দেবী। সেখানে প্রায়ই কানন দেবী, হরিদাশ ভট্টাচার্য, অজয় কর, মৃণাল সেন, ঋত্ত্বিক ঘটক আর তপন সিংহ মাসে কী দু মাসে একটা দুটো ছবি দেখতেন।

প্রজেকশানের ভাড়া ছিল সেই সময় দশ টাকা। স্টুডিওর মালিক মি. মেহতা মেশিন ভাড়া করে নিয়ে আসতেন আর ছবি দেখার সব খরচ যোগাতেন কানন দেবী। সেটাই ছিল সম্ভবত ভারতবর্ষে প্রথম নামহীন, গোত্রহীন এক ফিল্ম ক্লাব। ছবি নিয়ে খুব মত বিরোধ হত। মৃণালবাবু, ঋত্ত্বিকবাবু যেতেন একদিকে আর তপনবাবু যেতেন আর একদিকে কিন্তু তবুও তাঁরা বন্ধু ছিলেন। সেই সব খবরও বোধহয় ফিল্ম ক্লাবের সদস্য এবং বোদ্ধারা রাখেন না। নাকি সব জেনেও চুপ করে থাকেন?
আরও পড়ুন: হিংসামুক্ত পশ্চিমবঙ্গ গড়াই হবে গান্ধীজীর প্রতি আমাদের প্রকৃত শ্রদ্ধাজ্ঞাপন
যাক আজ তপন সিংহর ৯৬ তম জন্মদিন। আর এই বছরই তপনবাবু পরিচালিত ছবি ‘সাগিনা মাহাতো’ নির্মাণের পঞ্চাশ বছর। তাই দেশের অন্যতম গুণী চলচ্চিত্র নির্মাতা তপন সিংহের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ‘সাগিনা মাহাতো’-র বিষয় আলোচনা করব। প্রযোজক হেমেন গুপ্তর প্রযোজনায় তপনবাবু দুটি ছবি নির্মাণ করেছিলেন। একটা ‘সাগিনা মাহাতো’ অপরটি ‘ক্ষুধিত পাষাণ’। তাঁদের ভেতর একটা সুন্দর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল কিন্তু এই দুটি ছাড়া আর কোনও কাজ তাঁরা করতে পারেনি কারণ হেমেনবাবু বড় অসময়ে চলে যান। থাকতেন রাঁচিতে। সেখানেই আত্মঘাতী হন। ১৯৭০ সালে তৈরি হয়েছিল ‘সাগিনা মাহাতো’। মুক্তি পেয়েছিল ওই বছরের ২১ আগস্ট, রুব্বানি, অরুণা, ভারতী এবং সাহেব পাড়ার লাইট হাউজে। ছবিটি ’৭২ সালে মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে অ্যাফ্রো এশিয়ন কমিটির পুরস্কার পান। ছবির কাস্টে ছিল চাঁদের হাট। ছিলেন দিলীপকুমার, সায়রাবানু, অনিল চট্টোপাধ্যায়, স্বরূপ দত্ত, সুমিতা সান্যাল, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, চিন্ময় রায় প্রমুখ।

রূপদর্শীর (সাহিত্যিক গৌরকিশোর ঘোষের ছদ্মনাম) মূল আখ্যায়িকা অবলম্বনে রূপশ্রী ইন্টারন্যাশনালের ব্যানারে ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল। শুটিং হয়েছিল তিনধরি্য়া, গয়াবাড়ি, কার্শিয়াং, গুমটি টি এস্টেট এবং গোরীশঙ্কর টি এস্টেটে। গল্পটা এই রকম। বিচার চলছে গণ আদালতে। দানবের শক্তি নিয়ে যে পারে শত্রুকে রুখতে, আর্তমানবের প্রতি করুণায় যে বিগলিত প্রাণ, সহকর্মীদের প্রতি আত্মোৎস্বর্গ করেছে সেই সাগিনা মাহাতোর বিচার। আসামীর কাঠগোড়ায় দাঁড়ানো অভিযুক্ত ওই সাগিনা মাহাতোকে চিনে নিতে আমাদের তিনটি দশক পিছিয়ে যেতে হবে। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের জোয়াল কাঁধে নিয়ে মুমূর্ষ ভারতের দুঃসহ সেই দিনগুলি। পল্লিবাংলার এক কোণে ব্রিটিশ মালিকাধীন এক কারখানায় পশুর মত নির্মম অবহেলা সয়ে উদয়াস্ত খেটে চলেছে দীন দরিদ্র একদল মানুষ। ওদের জীবনে আছে হতাশা, আঘাত। হয়তো এমনি করেই ওদের জীবন শেষ হয়ে যেত কিন্তু হঠাৎ একদিন এই ক্লিষ্ট জীবনে জ্বলে উঠল আলো। জ্বালালো সাগিনা মাহাতো। এক নিরপরাধ শ্রমিককে বরখাস্ত করার ঘটনাকে ঘিরে সে হতাশাচ্ছন্ন সমস্ত শ্রমিককে এক করল। তাদের বুঝতে দিল তাদেরও আছে বাঁচবার অধিকার, আছে প্রত্যাঘাতের শক্তি।
ভাবতে অবাক লাগে যে মানুষটি তৈরি করেছিলেন ‘ক্ষণিকের অতিথি’-র মত রোম্যান্টিক ছবি, তৈরি করেছিলেন ‘গল্প হলেও সত্যি’, চিত্রায়িত করেছিলেন রবীন্দ্রকাহিনি ‘কাবুলিওয়ালা’, তিনিই তৈরি করলেন ট্রেড ইউনিয়ান আন্দোলন বিষয়ক ছবি। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো তপনবাবু কোনওদিনও কমিউনিস্ট আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন না তবুও তৈরি করলেন সাগিনা মাহাতোর মত ছবি। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, সত্যজিৎ রায়ের মতই তপনদার ছবির বিষয়বৈচিত্র অসীম। এক ব্যক্তিগত কথোপকথনে আমি তপনদার কাছে জানতে পারি যে কোনও অবাঙালির চরিত্রে অভিনয় করার জন্য তিনি অবাঙালি অভিনেতাদেরকেই নির্বাচন করতেন। সাগিনার চরিত্রে দিলীপকুমার ছিল সঠিক নির্বাচন। ছবির একটি বিশেষ দৃশ্যের জন্য একবার রিহার্সালের প্রয়োজন হয়। তখন হাতের কাছে দিলীপকুমার ছিলেন না। অগত্যা ছবির অন্যতম অভিনেতা স্বরূপ দত্তকে দিয়েই কাজটা সারেন তপনবাবু। দিলীপকুমারের সঙ্গে ছিল তাঁর ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব। চিত্রনাট্য শুনে এক কথায় তিনি সায়রাবানুকে সঙ্গে নিয়ে অভিনয় করতে রাজি হয়ে যান। ‘সাগিনা মাহাতো’-র হিন্দি ভার্সানও হয়েছিল। নাম দেওয়া হয়েছিল সাগিনা।

অনিরুদ্ধর মত ভিলেনের চরিত্রকে অসম্ভব মুন্সিয়ানার সঙ্গে চিত্রায়ন করেছিলেন অনিল চট্টোপাধ্যায়। সায়রাবানুর অভিনয়ও ছিল প্রশংসার যোগ্য। ছবির শুরুই ক্লাইমেক্সের মাধ্যমে। ফ্ল্যাশব্যাক-ফ্ল্যাশফরওয়ার্ডে ভেতর দিয়ে তৈরি হয়েছিল এই সাদা-কালো ছবিটি। ছবির জন্য খুব মিষ্টি দুটি গান লিখেছিলেন প্রযোজক হেমেন গুপ্ত এবং গীতিকার শ্যামল গুপ্ত। দুটি গানেই সুরারোপ করেন ছবির পরিচালক স্বয়ং। অনেকেই জানেন যে সংগীতের প্রতি অগাধ জ্ঞান ছিল তপন সিংহের। তাঁর বিভিন্ন ছবিতে প্রথমদিকে সংগীত পরিচালনা করেছিলেন পঙ্কজকুমার মল্লিক, পণ্ডিত রবিশঙ্কর, ওস্তাদ আলি আকবর খান, হেমন্ত মুখোপাধ্যয়, কালীপদ সেন প্রমুখ। ‘অতিথি’ ছবি থেকে তপন সিংহ নিজেই তাঁর ছবিগুলিতে সংগীত পরিচালনা করতে শুরু করেন। তাঁর সংগ্রহতে ছিল কুন্দনলাল সায়গালের হারমোনিয়া। নিজে ভালো গানও গাইতেন। সাগিনা মাহাতো ছবিতে ‘ছোটিসি পঞ্ছী ছোট্ট ঠোঁটেরে, মিষ্টি ফুলের মধু লুটেরে, ঝিরি ঝিরি ঝোরা তিরি তিরি নাচেরে’ গানটি অসম্ভব জনপ্রিয়তা লাভ করে। চিত্রনাট্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল পাহাড়ী এলাকার সবুজ বনানী। দেখতে দেখতে পার হয়ে গেল ছবিটির পঞ্চাশ বছর। ছবির সঙ্গে যুক্ত অনেকেই আজও আছেন আবার অনেকেই নেই কিন্তু তপন সিংহ পরিচালিত ছবির কথা বলতে গেলে বা আলোচনা করতে গেলে ‘সাগিনা মাহাতো’-র বিশ্লেষণ করতেই হবে। সেটা দিলীপকুমার বা সায়রাবানুর কারণে নয়। ছবির বিষয়বস্তুর জন্যই তা আগামী প্রজন্মের কাছে গুরুত্ব পাবে।
আরও পড়ুন: তাঁর ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়তেও ছিল নান্দনিকতা
তপনবাবু পরিচালিত অন্যান্য ছবির প্রসঙ্গেও ভবিষ্যতে সময়, সুযোগ পেলে আলোচনা করা যাবে। শিশু- কিশোরদের পক্ষে উপযুক্ত ছবিও তৈরি করেছিলেন একাধিক। ছবিগুলি দেখলে বোঝা যায় যে তিনি কিশোরদের মনস্তত্ব খুব ভালো বুঝতেন। আবার একই সময় সমাজের মূলে ছড়িয়ে থাকা বাস্তব এবং জলন্ত সব সমস্যা নি্য়েও ভাবনা-চিন্তা করে ছবি করেছেন যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘আতঙ্ক’, ‘হুইল চেয়ার’, ‘আদালত ও একটি মেয়ে’, অন্তর্ধান ইত্যাদি। তাঁর মৃত্যুর পরে কোনও কোনও চলচ্চিত্র সমালোচককে বলতে শুনেছি যে তপন সিংহের ‘আপনজন’, ‘এখনি’ এবং ‘রাজা’, এই তিনটি ছবি একটি ট্রিলজির অন্তর্গত। তিনটি ছবিতেই দর্শকরা দেখতে পেয়েছিলেন সাতের দশকের অশান্ত রাজনৈতিক সময়কে। দুঃখের বিষয় তাঁর জীবিতকালে কিন্তু কেউ এই ধরনের আলোচনা করেননি তাঁর ছবির সম্পর্কে। ভারতের নিয়মই বোধহয় এই রকম। একদম শেষ পর্যায় বা মৃত্যুর পরেই বোধহয় বেশিরভাগ মানুষের মূল্যায়ন হয়।

জীবনের শেষ প্রান্তে পৌঁছে তাঁর সকল চিন্তা আর অনুভূতি ছিল রবীন্দ্রময়। নিজেকে বলতেন রবীন্দ্রনাথের ছাত্র। বিকেলে পশ্চিমের বারান্দায় বসে মুক্ত আকাশে পাখিদের বিচরণ দেখতেন আর চোখ রাখতেন গীতবিতানের পাতায়। বলতেন, এই সাত ঋতু আর বিশ্বচরাচরকে কবি যেভাবে দেখেছিলেন, সেইভাবে আর কেউ কোনওদিনও দেখেননি। তাই চলমান ক্যারাভানে চড়ে যখন বেরিয়েছেন, তখন তাঁর দেখা দৃশ্যে বারে বারে ধরা পড়েছেন রবীন্দ্রনাথ। ভগ্ন শরীরে সুর এসে জায়গা করে নিত। গাইতেন, ‘আমার চলা নবীন পাতায়, আমার চলা সুরের ধারায়’।
(ছবি – সুকুমার রায়)