টার্গেট বাংলার যুবকরা! রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের জঙ্গি নিয়োগ করে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে আইএসআই

নিজস্ব প্রতিনিধি: জঙ্গি প্রশিক্ষণের জন্য পাকিস্তানের টার্গেট এখন বাঙালি। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও বিশেষভাবে টার্গেট করছে তারা। পাকিস্তানে প্রশিক্ষণের জন্য এই রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলার যুবকদের টার্গেট করেছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে পাকিস্তান ও তালিবানদের কাছ থেকে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিতে ১৭ জন যুবক গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন গোয়েন্দারা।
মূলত জামাত-উল-মুজাহিদিন (বাংলাদেশ) বা জেএমবির মাধ্যমেই ফের শুরু হয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। সেখানে রয়েছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের প্রত্যক্ষ মদত। কিছুদিন আগেই দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে ছয় জঙ্গি। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিস্ফোরণের ছক কষেছিল তারা। তাদের জেরা করে প্রচুর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
সূত্রের খবর, তাদের মধ্যে দুজনের সঙ্গে যোগ রয়েছে জেএমবির। সেই সূত্র ধরে দিল্লি পুলিশ ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে খবর আসে যে, ১৭ জন বাঙালি যুবকও প্রশিক্ষণ নিয়েছে পাকিস্তানে। তালিবান কাবুলের দখল নেওয়ার পর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা খবর পান যে, বাংলাদেশ, অসম ও এ রাজ্য থেকে আগেই মোট ২১ জন যুবক বিহার, উত্তরপ্রদেশ হয়ে জম্মু ও কাশ্মীরে পৌঁছেছে। সেখান থেকে তাদের দফায় দফায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে পাকিস্তানে। পাকিস্তানে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলে খবর আসে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে।
স্বাভাবিকভাবে বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন গোয়েন্দারা। আফগানিস্তানে পালাবদলের পর দেশের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত নয়াদিল্লি। তালিবানের সহায়তায় পাকিস্তানের মদত পুষ্ট জঙ্গিরা জম্মু-কাশ্মীরে নাশকতামূলক কাজ আরও বাড়াবে বলে ভারতের আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে গোয়েন্দারা মনে করছেন
জঙ্গি প্রশিক্ষণের পর ওই যুবকদের আফগানিস্তানে পাঠানো হতে পারে। সেখানে তাদের তালিবানদের সঙ্গেও যুক্ত করার পরিকল্পনা থাকতে পারে আইএসআইয়ের। পরে তাদের ভারতে পাঠানো হতে পারে নাশকতার জন্য।
সূত্রের খবর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা থেকে পাকিস্তানে তিনজনকে পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বেশ কয়েকটি অঞ্চলকে টার্গেট করেছে জেএমবি। এ ছাড়াও জঙ্গিদের নজরে রয়েছে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, বর্ধমান, বীরভূম জেলাও। কয়েক মাস আগেই দক্ষিণ শহরতলির হরিদেবপুরে ঘাঁটি তৈরি করেছিল জঙ্গিরা। নতুন মডিউল তৈরির চেষ্টা করছিল কলকাতায়। তবে জঙ্গিদের মূল লক্ষ্য জেলাগুলি থেকে যুবকদের মগজ ধোলাই করে পাকিস্তানে পাঠানো। তাই যেভাবে পাকিস্তান বা আইএসআই পশ্চিমবঙ্গকে টার্গেট করেছে, তাতে নড়েচড়ে বসেছেন গোয়েন্দারা। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকে এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।