যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার জেরে বিশ্বজুড়ে লকডাউন করা হয়। যার জেরে অনেকটাই পরিবেশ শীতল হয়ে যায়। কিন্তু যেমনই আবার লকডাউন শিথিল করে দেওয়া হয়, তেমনি ফের বাড়তে থাকে তাপমাত্রা। তবে সেই তাপমাত্রা এবার রেকর্ড করল আমেরিকার ডেথ ভ্যালি। রবিবার দুপুরেই সেখানকার তাপমাত্রা ছিল ১৩০ ডিগ্রি ফারেনহাইট! অর্থাৎ ৫৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ এমনিতেই পশ্চিমী দেশগুলিতে নজিরবিহীন তাপপ্রবাহ চলছে৷ তার মধ্যেই নতুন নজির সৃষ্টি করল ডেথ ভ্যালির এই তাপমাত্রা৷ মার্কিন আবহাওয়া দফতরের বসানো একটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় এই তাপমাত্রা নথিভুক্ত হয়েছে৷ স্থানীয় সময় রবিবার দুপুর ৩.৪১ মিনিটে ডেথ ভ্যালির তাপমাত্রা ১৩০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে পৌঁছে যায়৷ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই এভাবে পারদ চড়ছে৷
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক ভাবে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়ে থাকলে গোটা বিশ্বে রেকর্ড হওয়া সর্বকালীন সর্বোচ্চ তাপমাত্রাগুলির মধ্যে প্রথম তিনে চলে আসবে রবিবার ডেথ ভ্যালির এই তাপমাত্রা৷ এমনও হতে পারে, এটিই হয়তো গোটা বিশ্বে রেকর্ড হওয়া সর্বোচ্চ তাপমাত্রা৷ রবিবার দুপুরে ক্যালিফোর্নিয়ার মোজাভে মরুভূমিতে এই তাপমাত্রা নথিভুক্ত হয়৷
মার্কিন আবহাওয়া দফতরের লাস ভেগাস অফিসের আবহাওয়াবিদ ড্যানিয়েল বার্ক বলেন, ‘আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৭ শতাংশে নেমে গিয়েছিল৷ ফলে অসহ্যকর গরম অনুভূত হচ্ছিল৷ সোমবারও আমেরিকার পশ্চিম অংশে তাপপ্রবাহ চলবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি৷ ওই আবহাওয়াবিদের কথায়, ‘মনে হচ্ছিল আমরা চুল্লির মধ্যে রয়েছি৷’
উল্লেখ্য, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ইউরোপের অনেক দেশেও জুলাই মাসে বেনজির ভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে৷ উত্তর স্পেনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার অতীত রেকর্ড ভেঙে গিয়েছে৷ আবার ফ্রান্সে প্রবল গরমে গম ক্ষেতে নিজে থেকেই আগুন ধরে গিয়েছে৷ একই ভাবে সাইবেরিয়ান রাশিয়ার অরণ্যে একের পর এক দাবানলের কবলে পড়েছে৷ জুলাই মাসে আর্ক্টিক সাগরের বরফ সর্বাধিক গলে গিয়েছে৷