খড়দহে দুষ্কৃতীদের বোমাবাজির ঘটনায় উত্তেজনা

অলোক কুমার ঘোষ, ব্যারাকপুর: উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের জ্যোতি কলোনিতে মদ, জুয়ার আসর ও দুষ্কৃতীদের অসামাজিক কার্যকলাপ করতে বাধা দেওয়ায় এলাকায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটল। নবমী ও দশমীর রাতে জ্যোতিকলোনী এলাকায় বহিরাগত দুষ্কৃতীরা এসে বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। জ্যোতিকলোনির বাসিন্দাদের বক্তব্য, বহিরাগত দুষ্কৃতীরা মদ গাঁজার আসর বসাতে বাঁধা পেয়ে এলাকায় বোমাবাজি করে, রেল লাইনের পাথর ছুঁড়ে মারে বলে অভিযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, জ্যোতিকলোনির কিছু যুবক বহিরাগত দুষ্কৃতীদের সঙ্গে যুক্ত। তারাই ওই দুষ্কৃতীদের পাড়ায় এনে গণ্ডগোল করে। অসীম রায় নামে স্থানীয় যুবক বলেন, “আমাদের এই এলাকাটি শান্ত এলাকা ছিল। কিন্তু বাইরের দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে এখানে মদ জুয়ার আসর বসান হচ্ছে। এলাকার মহিলারা এই রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া আসা করতে পারেনা। আমরা ওই দুষ্কৃতীদের অসামাজিক কাজে বাঁধা দিচ্ছি তাই ওরা হামলা করেছে, বোমা মারছে।
আমরা পুলিশকে সব জানিয়েছি, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকেও বিষয়টি জানিয়েছি। টিটাগড় পৌরসভার পৌর প্রশাসক প্রশান্ত চৌধুরীর এলাকা থেকে বহিরাগত দুষ্কৃতীরা এই জ্যোতিকলোনিতে এসে গণ্ডগোল করছে। আমরা শান্তিতে থাকতে চাই।”
[আরও পড়ুন- করোনা কেড়ে নিল এক কৃতী চিকিৎসকের প্রাণ, মেদিনীপুর শহরে শোকের ছায়া]
জ্যোতিকলোনির উল্টোদিকে কিছুটা দূরে টিটাগড় পৌরসভার পৌর প্রশাসক প্রশান্ত চৌধুরীর নিজস্ব এলাকা। টিটাগড় পৌরসভার পৌর প্রশাসক প্রশান্ত চৌধুরীর এলাকা থেকে দুষ্কৃতীরা এসে এইধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। দশমীর রাতে বোমাবাজির ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে ঘটনাস্থলে আসে রহড়া থানার পুলিশ। এদিকে এই ঘটনা সম্পর্কে প্রশান্ত বাবু বলেন, “দশমীর রাতে আমরা বিসর্জন নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। যারা হামলা করেছে তাদের চিনি না। যে অঞ্চলে ঘটনা ঘটেছে সেটা আমার এলাকা না। যারা করেছে তাদের গায়ে কি লেখা আছে তারা কার লোক? আমার নামে বদনাম দেওয়া হচ্ছে? পুলিশ তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দিক।” যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে এই ঘটনাকে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল বলা হয়েছে। রহড়া থানার পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্ত দুষ্কৃতীদের খুঁজছে পুলিশ।