লকডাউনেও কোলাঘাটে খোলা বাজার, বন্ধ করল প্রশাসন

বাবলু ব্যানার্জি, কোলাঘাট: সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম লকডাউন, ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি লকডাউন পার হয়ে এলেও এই মাসের প্রথম লকডাউনে সরকারের নির্দেশাবলিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে দোকানপাট, বাজার খোলা থাকতে দেখা গেল। আর এখানেই প্রশ্ন উঠে গেল তাহলে কি মানুষ এবার লকডাউন এর প্রতি আস্থা হারাচ্ছে, না প্রশাসন প্রথম দিকে যেভাবে প্রচার এর মধ্যে এনেছিল লকডাউনকে, দিন যত যাচ্ছে সেই গুরুত্ব থেকে পিছপা হছে।
নির্দিষ্ট দিন হঠাৎ ৭ সেপ্টেম্বর লকডাউন থাকছে আগেই সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু নিত্য দিনের মতো আজও ব্লক জুড়ে লক্ষ্য করা গেল বিভিন্ন স্থানে দোকানে দোকানে মানুষ জনের আনাগোনা, হাট-বাজারে মানুষের আনাজ পত্র কেনার ধুম। কোলাঘাট ব্লকের পুলশিটা অঞ্চলের ক্ষেত্রহাট গ্রামে প্রতি সোমবার হাট বসে। আজ লকডাউন থাকলেও বিক্রেতাদের বাজারে আসছে দেখা যায়, রীতিমতো ক্রেতারা সবজি মাছ সহ অন্যান্য জিনিসপত্র কিনতে থাকে। কোলাঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে চলে যেতে বলে বিক্রেতাদের। তবে সামান্য সময়ের মধ্যে বাজার ফাঁকা হয়ে যায়। দেউলিয়া খন্যাডিহি রাস্তায় বেশ কয়েকটি দোকান খোলা অবস্থায় থাকলে পুলিশ বন্ধ করে দেয়।
কোলাঘাট ব্লকের শহরতলিতেও দোকানপাট খোলা থাকতে দেখা যায় তবে সেখানেও পুলিশের হস্তক্ষেপে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই ব্লক এর উপর দিয়েই ৬ ও ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক গেছে যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যা না দেখতে পাওয়া গেলেও অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়। এই ব্লকে অসংখ্য শাখা রাস্তা রয়েছে মোটরবাইক চালকরা রীতিমতো গাড়ি নিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়।
ব্লক প্রশাসনিক প্রধান মদন মোহন মন্ডল কে ধরা হলে তিনি বলেন, গ্রামীণ এলাকার দোকান খোলা আছে কিনা বলা না গেলেও শহরতলীতে বন্ধই ছিল। সরকারের পক্ষ থেকে যে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে কোলাঘাট ব্লক প্রশাসন তা নিয়ে যথেষ্ট তৎপর।
অন্যদিকে কোলাঘাট থানার ওসি রাজকুমার দেবনাথ বলেন, ঘোষিত লকডাউন কে সামনে রেখে মোবাইল ভ্যান কোলাঘাট ব্লক জুড়ে টহল দিয়েছে। যেখানে যেখানে মানুষজন বাজার থেকে দোকান খুলে রেখেছিল, সেই সব স্থানে গিয়ে প্রশাসন তা বন্ধ করে দেয়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে এই লকডাউন অমান্য করা হচ্ছে কিনা তা পুলিশ প্রশাসন দৃঢ়তার সঙ্গে লক্ষ্য রাখছে।