করোনার থেকে বাঁচতে রাজ্যের সর্ববৃহৎ ঈদের নমাজ কলকাতার রেড রোডে হচ্ছে না
নিজের বাড়িতেই কুরবানি করার বার্তা….

মোকতার হোসেন মন্ডল: করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে রাজ্যের সর্ববৃহৎ ঈদের নমাজের জামাত কলকাতার রেড রোডে হচ্ছে না। নিজের বাড়িতেই কুরবানি করার বার্তা দিয়েছেন মুসলিম নেতারা। করোনা নিয়ে সরকারি নির্দেশিকা মেনে খিলাফত কমিটি জানিয়েছে, ঈদুল ফিতরের মতো কুরবানি ঈদও এবার কলকাতার ঐতিহাসিক রেড রোডে হচ্ছে না।
খিলাফত কমিটির সদস্য ইসহাক মল্লিক বলেন, রাজ্য সরকারের নির্দেশিকার পরিপ্রেক্ষিতে রেড রোডে ঈদ-উল-আজহারও নমাজ বন্ধ রাখা হচ্ছে।
রেড রোডের ঈদের নমাজের ইমাম কারী ফজলুর রহমান জানান, ঈদ-উল-ফিতরের মতোঈ ঈদ-উল-আজহার জামাত রেড রোডে অনুষ্ঠিত হবে না।
আরও পড়ুন:প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত সচিব হচ্ছেন আইএএস হার্দিক সতীশচন্দ্র শাহ
রেড রোডের ঈদের জামাতের ইমাম ক্বারী ফজলুর রহমান জানান,ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কুরবানি করারও পরামর্শ দিয়েছেন। কোনও জমায়েত ছাড়াই নিজ নিজ বাড়িতে কুরবানি করে সেই মাংস প্লাস্টিকে মুড়ে দুঃস্থদের বিতরণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নাখোদা মসজিদের ইমাম মাওলানা শফিক কাসেমীও জানান, স্বাস্থ্য বিধি মেনেই ঈদ পালন করতে হবে।
এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনে আসন্ন ঈদের নামাজ পড়ার পরামর্শ দিলেন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি মাওলানা আরশাদ মাদানি। এক বিবৃতিতে মাওলানা মাদানি জানান, ইসলামে কুরবানির বিকল্প নেই। এটি একটি ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা যা প্রতিটি সামর্থ্যবান মুসলিমের উপর ফরজ। যাদের অর্থ আছে তাদের কুরবানি করা উচিত। করোনা ভাইরাস মহামারীজনিত কারণে সৃষ্ট ঝুঁকির পরিপ্রেক্ষিতে কোভিড -১৯ মহামারির বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সমস্তু নির্দেশনা মেনে ঈদ-উল-আযহা উদযাপন বা পালন করতে হবে।
জমিয়তের সভাপতি মাওলানা মাদানি মসজিদ গুলিতে বা ঘরে বসে সকল সামাজিক দুরত্বের নিয়ম মেনে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা নির্দেশাবলি অনুসরণ মুসলমানদের ঈদ-উল-আযহার নামায পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি সুর্যোদয়ের ২০ মিনিটের পর পরই অবিলম্বে এবং অল্প সময়ের মধ্যে খুতবা ও নমাজ পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই পশু কুরবানি করার তাগিদ দিয়েছেন মাওলানা আরশাদ মাদানি।
আরও পড়ুন:রাম বিরোধীরা দেশদ্রোহী! তোপ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের
মুসলমানদের কাছে তার অনুরোধ, সমস্ত বর্জ যাতে এমনভাবে পরিষ্কার করা হয় এজন্য কারোর যেন কোনও সমস্যা না হয়। নিয়মিত যেখানে কুরবানি দেওয়া হয়েছে, সেখানে কুরবানি দেওয়া যদি অসুবিধে হয় তবে নিকটস্থ জায়গায় কারও কোনও অসুবিধা না হয় সেখানে কুরবানি দেওয়া উচিত। তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে সেই নির্দিষ্ট জায়গায় কমপক্ষে একটি ছাগলও কুরবানি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এবং প্রশাসনকে সবরকম সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
এদিকে দেশের বিভিন্ন মুসলিম নেতারাও স্বাস্থ্য বিধি মিনি ঈদ পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।