‘আর নয় বেকারত্ব’ রাজ্যে ৭৫ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি কার্ড আনছে বিজেপি

শ্যাম বিশ্বাস, উওর ২৪ পরগনা: শীতের আবহেও রাজ্যে নির্বাচনী বাতাস ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হচ্ছে। রাজ্যে শাসক তৃণমূল কংগ্রেসকে এবার সরাসরি টক্কর দিতে রবিবার বঙ্গ বিজেপি রাজ্যে শুরু করল তাদের ‘আর নয় অন্যায়’, ‘আর নয় বেকারত্ব “প্রকল্প।
এদিন বিজেপির রাজ্যের যুব মোর্চার সম্পাদক প্রীতম দত্ত উত্তর চব্বিশ সরূপনগর থানা মালঙ্গ পাড়ায় বিজেপির দলীয় কার্যালয় এসে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন।
পরিকল্পনা নেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসংস্থানের প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতা দখলের আগেই ৭৫ লক্ষ যুবকের কর্মসংস্থানের কার্ড বিলি করবে বঙ্গ বিজেপি।
তাদের লক্ষ্যে এখন থেকেই পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে শিক্ষিত বেকারদের নাম নথিভূক্তির কাজ শুরু হবে। বাংলা দখলের পর পাঁচ বছরে এই ৭৫ লক্ষ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিজেপি।
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোতেই বঙ্গ বিজেপির এই ঘোষণা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। রবিবার সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ও বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় রাজ্যের বেকারত্ব নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন।
তারপর রাজ্যে সরকারের কাজের সমালোচনার পাশাপাশি রাজ্য যুব মোর্চার সম্পাদক প্রীতম দত্ত বলেন, ‘আগামী দু-মাসের মধ্যেই রাজ্যে কোনায় কোনায় ৭৫ লক্ষ বেকার যুবক যুবতীর কাছে পৌঁছে যাবে বিজেপি। তাদের নাম ঠিকানা নথিভূক্ত করে রাখা হবে’।
দল ক্ষমতায় আসার পরেই তাদের নিয়োগ করা হবে। বেকারত্বের সুরাহা হবে। রাজ্যে উত্তরোত্তর বেকারের সংখ্যা বেড়ে চলাকে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়ী করে প্রীতম দত্ত বলেন, ‘রাজ্যে কোটি কোটি টাকা খরচা করে শুধুই শিল্প সম্মেলন হয়েছে। চপ শিল্প ছাড়া কোনও শিল্পই আসেনি রাজ্যে আর যে শিল্পগুলি ছিল সেগুলি সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে হয় বন্ধ হয়েছে নয়ত রাজ্যে ছেড়ে পালিয়েছে’।
এর পরই বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় সুর চড়িয়ে রাজ্যে ব্যাপি হওয়া মেলায় সরকারের খরচের হিসেব চেয়ে অবিলম্বে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে বিজেপি যদি সত্যিকারের
রাজ্যের বেকার যুবক যুবতীদের কাজের প্রতিশ্রুতি কার্ড বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিয়ে আসে তাহলে ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে তারা যে অনেকটাই এগিয়ে যাবে তা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়।