বিজেপির নদিয়া জেলা দক্ষিণ সাংগঠনিক স্তরে ব্যাপক রদবদল

শ্যামলকান্তি বিশ্বাস, কল্যাণী: বিজেপির নদিয়া জেলা দক্ষিণের সাংগঠনিক স্তরে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হল। বিশেষ করে মন্ডল সভাপতি পদে এই পরিবর্তন। এই পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে দল আরও আঞ্চলিক স্তরে শক্তিশালী হবে বলেই দলের বর্ষীয়ান নেতানেত্রীদের অনুমান। যদিও এই পরিবর্তনে দলের অভ্যন্তরে আঞ্চলিক স্তরে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। অনেকেই বিষয়টিকে দলের অভ্যন্তরীণ অন্তরকলহ ও গ্ৰুপবাজির বহিঃপ্রকাশের নগ্ন চেহারা চাপা দেওয়ার প্রয়াস বলে অভিহিত করলেও বিষয়টি হিতেবিপরীত হবে বলেই মত পোষণ করেছেন। প্রকাশ্যে স্বীকার না করলেও নদিয়া জেলা দক্ষিণের সাংসদ জগন্নাথ সরকারের সঙ্গে এ কেন্দ্রেরই প্রাক্তন সাংগঠনিক সভাপতি অধ্যাপক ডঃ মানবেন্দ্র রায়ের সাংগঠনিক স্তরে মতবিরোধ সর্বজন বিদিত।
অন্যদিকে নদিয়া জেলা দক্ষিণের সাংগঠনিক প্রধান, শিক্ষক জগন্নাথ সরকার সাংসদ নির্বাচিত হওয়ায় পর এই কেন্দ্রের পূর্ব ঘোষিত প্রার্থী ডাঃ মুকুটমণি অধিকারীর সঙ্গে ও হিমশীতল সম্পর্কে উত্তপ্ত এলাকার রাজনৈতিক পরিমণ্ডল। সব দিক থেকে চিত্রনাট্য বেশ জমে উঠেছে।এর পর আবার আদি এবং নব্য বিজেপি নেতৃত্বের চাপা অসন্তোষ লেগেই আছে, আর এই সমস্ত ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় মুচকি হাসি স্থানীয় স্তরের তৃনমূল কংগ্রেস নেতানেত্রী দের মুখে।
আরও পড়ুন: এবার করোনা আক্রান্ত চিকিৎসকেরাই ‘করোনা রোগী’দের পরিষেবা দেবে!
এই পরিবর্তনে খুশি ৮৮নং বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা আশীষ কুমার বিশ্বাস, তিনি জানালেন, এই পরিবর্তনে দলের মধ্যে সাংগঠনিক গতি বাড়বে। সাংসদ জগন্নাথ সরকারের সঙ্গে মানবেন্দ্র রায়ের দ্বন্দ্বের কথা প্রকাশ্যে চর্চিত হলেও জগন্নাথবাবু এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তিনি জানান, দলকে শক্তিশালী করবে নেতৃত্বের যেকোনও সিদ্ধান্তকেই স্বাগত। এ বিষয়ে যদি কোনও অপপ্রচার হয় থাকে, তবে তা অবশ্যই বিরোধীদের অপপ্রচার, বিজেপি সর্বভারতীয় গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। দলে নীতি আদর্শ মেনেই সব ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে, এখানে ব্যক্তি বিশেষের কোনও গুরুত্ব নেই। নতুন দায়িত্বে ৩৭ নং জেলা পরিষদ, মন্ডল সভাপতি রথীন মন্ডলের জায়গায় আনা হয়েছে তাপস ঘোষকে, চাকদাহ ৪২ নং জেলা পরিষদ মন্ডল সভাপতি প্রকাশ পাশের জায়গায় আনা হয়েছে, বিশ্বনাথ পালকে এবং বীরনগর শহর মন্ডল সভাপতি শংকর দাসের স্থলাভিষিক্ত হলেন সুজন বালা।