fbpx
পশ্চিমবঙ্গহেডলাইন

শ্যামপুরে পুকুর থেকে উদ্ধার ১৫ দিনের শিশু কন্যার মৃতদেহ

পাপ্পা গুহ, উলুবেড়িয়া: বাবা মায়ের পাশে শুয়ে থাকা ১৫ দিনের এক শিশু কন্যার মৃতদেহ উদ্ধার হল বাড়ির সামনের পুকুর থেকে। মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল শ্যামপুরের মরশাল গ্রামের তেতুলতলায়। মৃত শিশুর নাম আরাধ্যা মাঝি। শ্যামপুর থানার পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। পুলিশ একটি অসাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

জানা গেছে, শ্যামপুরের মরশাল গ্রামের বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র সায়ক মাঝির সঙ্গে শিলিগুড়ির বাসিন্দা সোনিয়ার ফেস বুকে পরিচয় হয়। বছর দেড়েক আগে সায়ক সোনিয়াকে বিয়ে করে এবং কলকাতায় থাকতে শুরু করে। যদি লক ডাউনের কারণে মাস ৪ আগে সে স্ত্রীকে নিয়ে শ্যামপুরে ফিরে আসে। দিন ১৫ আগে সায়ক ও সোনিয়ার একটি কন্যা সন্তান হয়। পরিবার সূত্রে খবর সোমবার রাতে স্বামী স্ত্রী তাদের কন্যা সন্তানকে নিয়ে ঘুমানোর সময় মঙ্গলবার ভোর ৩টের সময় তারা লক্ষ্য করেন বিছানায় আরাধ্যা নেই। এরপরেই তাদের চিৎকারে পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। চারিদিকে খোঁজাখুঁজি করেও ছোট শিশুকে কোথাও খুঁজে না পাওয়ার পর মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে ৫০ ফুট দূরত্বে একটি পুকুরের মধ্যে আরাধ্যার মৃতদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা।

পরে তারা পুলিশে খবর দিলে শ্যামপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। ঘটনা সর্ম্পকে সোনিয়া মাঝি জানান সোমবার মেয়েকে নিয়ে শুয়ে পড়ার পর মঙ্গলবার ভোরে আচমকা ঘুম ভেঙে গেলে দেখতে পাই সোনিয়া নেই। চারিদকে খোজাখুজি করেও মেয়েকে না পাওয়ার পর মঙ্গলবার ভোরে পুকুরে মেয়ের মৃতদেহ ভাসতে থাকার খবর পাই। তবে কিভাবে বন্ধ ঘর থেকে মেয়ে উধাও হয়ে গেল সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এদিকে ছোট শিশুর রহস্য মৃত্যু নিয়ে গ্রামবাসীরা প্রশ্ন
তুললেও এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি।

Related Articles

Back to top button
Close