
যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্ক: গুজরাতে মোরবি জেলায় মাচ্ছু নদীর ওপরে ঝুলন্ত সেতু দুর্ঘটনায় ক্রমশ বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত ১৪১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। রবিবার রাতেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রায় পাঁচশোর বেশি পর্যটক ভিড় করেছিল এই সেতুটিতে। বেশিরভাই পর্যটক। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। সেনা, নৌসেনা, বায়ুসেনা, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, দমকল বাহিনী দিয়ে চলছে তল্লাশি অভিযান। ১৭৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ১৯ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এখনও অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন।
এদিকে এই দুর্ঘটনায় মারাত্মক তথ্য সামনে এসেছে। ফিটনেস পরীক্ষার শংসাপত্র না দিয়েই সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় এই সেতু। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গুজরাট সফরেরই মাঝেই এহেন ঘটনা ঘটল গুজরাটে। ব্রিজ বিপর্যয়ের কারণে তিনি সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করেছেন। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের তরফে নিহতদের পরিবার ও আহতদের প্রতি আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। হাসপাতালে আহতদের সঙ্গেও দেখা করেছেন তিনি। গুজরাটের এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রীরা।
ব্রিটিশ আমলে তৈরি এই ব্রিজ। বিংশ শতাব্দীতে ২৩০ মিটার লম্বা এই ঐতিহাসিক ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। গত ছয়মাস ধরে মেরামতির কারণে এই ব্রিজটি বন্ধ ছিল। গত সপ্তাহেই জন সাধারণের জন্য এই ব্রিজটি খুলে দেওয়া হয়। মোরবি পুরসভার তরফে এই ব্রিজ মেরামতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ওরেভা গ্রুপকে। মোরবির চিফ সিকিউরিটি অফিসার সন্দীপ সিং ঝালা জানিয়েছেন, ‘১৫ বছরের জন্য এই ব্রিজ দেখভাল ও অপারেশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ওরেভা কোম্পানিকে। মেরামতির কাজের জন্য এটি বন্ধ ছিল। ২৬ অক্টোবর গুজরাতি নববর্ষে এটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়।’
তিনি জানিয়েছেন, জানা নেই সেতু খোলার জন্য এই সংস্থাকে কোনও ফিটনেস সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়েছিল কি না।