কেন্দ্রীয় সরকার ৭০ বছরের শিল্পীদের পেনশন দেওয়ার ব্যবস্থা করছে, কৈলাস বিজয়বর্গীয়

বাবলু প্রামানিক, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বাংলার মানুষ বিশ্বাস করে দুইবার আশীর্বাদ করেছে রাজ্যসরকারকে। কিন্তু, কেন্দ্রের কোনও প্রকল্প এখানে চালু হয় না। সারাদেশে কৃষকরা যখন প্রতিবছর টাকা পায়। বাংলা ব্যতিক্রম, এখানে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অহংকারে কৃষকরা বঞ্চিত। শিল্পী সমাজকে পেনশন দিতে চাই আমরা, কিন্তু রাজ্য সরকারের অনুমতি চাই। তা দেওয়া হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী নিজে এই কাজের তদারকি করছেন। বাংলাতেও ৭০ বছরের শিল্পীদের পেনশন দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। এমনই ঘোষণা করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। মঙ্গলবার জয়নগরের বহড়ু স্কুল মাঠে বাউল, লোকশিল্পীদের নিয়ে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথা বলেন তিনি। এদিনের সভায় ছিলেন বিজেপির রাজ্য নেতা শঙ্কুদেব পান্ডা, জেলা সভাপতি হরিকৃষ্ণ দত্ত সহ অন্যরা।
এদিনের সভায় কার্যত বিধানসভা ভোটের আগে নির্বাচনী প্রচার সেরে নেন কেন্দ্রীয় নেতা। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্প নিজের সরকারের নামে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একবারও কেন্দ্রের সরকারের নাম নেওয়া হচ্ছে না। করোনা মহামারীতেও কেন্দ্র পয়সা দিয়েছে, আবার আম্ফানে ১ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। মানুষের কাছে সেই বার্তা দেওয়া হচ্ছে না। আগামীদিনে বাংলায় বিজেপির সরকার আসা সময়ের অপেক্ষা। কীর্তন শিল্পীদের পেনশনের ব্যবস্থা করে দিয়েছে মোদি সরকার।
ক্ষমতায় আসার পর বাংলার সকল কীর্তন শিল্পীরা পেনশন পাবেন বলে বারুইপুরের সভায় প্রতিশ্রুতি দিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাঁর কথায়, ”শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু না থাকলে গোটা বাংলা বাংলাদেশ হয়ে যেত।” রাজ্যের বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এ দিন বলেন, ”কৃষ্ণভক্তি ও রামভক্তির ভূমি বাংলা। চৈতন্য মহাপ্রভুর পরম্পরাকে আপনারা বহন করে চলছেন। ভক্তিরসের গঙ্গা এখানে প্রবাহমান। চৈতন্য মহাপ্রভু না থাকলে গোটা বাংলা বাংলাদেশ হয়ে যেত।