লকডাউন অমান্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই,অভিযোগ দিলীপ ঘোষের
শ্যামল কান্তি বিশ্বাস, কৃষ্ণনগর: রাজ্যে প্রথম লকডাউন অমান্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই, অভিযোগ বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষের। গত কাল কৃষ্ণনগরে দলীয় সভায় যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই অভিযোগ করেন দিলীপ বাবু। তিনি আরো বলেন, রাজ্যে লকডাউন বলবৎ হওয়ার শুরু থেকেই সামাজিক দূরত্ব বিধি লঙ্ঘন করে এলাকায় এলাকায় ত্রাণ দিয়েছেন মাননীয়া। প্রচারের আলোকে আশার জন্য মিডিয়া কে সঙ্গে নিয়ে ছুটেছেন। রাজ্যের মানুষ সব দেখেছেন। শহর জুড়ে তিনি গন্ডি একে বেড়িয়েছেন। দাগ কেটে, গন্ডি একে করোনাকে কিন্তু আটকানো যায়নি। শুধুমাত্র প্রচারের আলোকে আসার জন্য অন্য সব মন্ত্রীদের কে বাড়িতে বসিয়ে রেখে সব জায়গায় একা মিডিয়া কে সঙ্গে নিয়ে ছুটেছেন।
রাজ্যের মানুষ জানতে চায়, এরাজ্যের শ্রম মন্ত্রী এবং ত্রাণ মন্ত্রী বলে কোন পদ আছে কিনা?যদি থাকে তাহলে তাদের নাম কি? তারা কি সব হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিল?আমরা বিরোধীরা বারবার বলেছি, পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকলকে একসঙ্গে নিয়ে কর্মসূচি তৈরি করুন। আগে মানুষের জীবন, পরিষেবা তারপর রাজনীতি।কে কার কথা শোনে, মুখে সৌজন্যের বুলি আওড়ালেও বাস্তবে পুলিশ প্রশাসন কে কাজে লাগিয়ে বিরোধীদের একদম ঘরে আটকে রাখার জঘন্য চক্রান্ত করে চলেছেন। এটা রাজ্য পরিচালনার ক্ষেত্রে সুস্থ লক্ষণ নয়! একজন প্রশাসক হিসাবে এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চুরান্ত ভাবে ব্যর্থ। সব সময় আগ বাড়িয়ে একক সিদ্ধান্ত নিতে অভ্যস্ত,যার ফলে পদে পদে হোঁচট খাচ্ছেন তিনি। করোনা কিংবা আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা তো দূর অস্ত, শাসকদলের মন্ত্রী পরিষদের নিয়ে মিটিং পর্যন্ত হয় না যে রাজ্যে সে রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা বলে কি কিছু আছে?
আরও পড়ুন: সরকার টিকবেনা বুঝেই শেষ খাওয়া খেয়ে নিচ্ছে তৃণমূল: সুজন চক্রবর্তী
আলোচনার প্রয়োজন বোধ করেন না মাননীয়া, রাজ্যে কি আদৌ গনতন্ত্রের শাসন চলছে! আমাদের বিরোধীদের নিয়ে আলোচনায় নাইবা বসলেন অন্তত আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় মন্ত্রী পরিষদকে নিয়ে বসা তো উচিৎ ছিল! এবং সেমতো পরিকল্পনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিলে অন্তত রাজ্য সরকারকে নাকুনি চুবুনী খেতে হতো না।। অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে কথা গুলি বললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সভায় অন্যান্য দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার, বিধায়ক আশীষ কুমার বিশ্বাস, কৃষাণ মোর্চার রাজ্য সভাপতি মহাদেব সরকার, বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি (উত্তর) আশুতোষ পাল, সাংগঠনিক জেলা সভাপতি (দক্ষিণ) অশোক চক্রবর্তী প্রমুখ।