লুটের রাজত্বের দিন শেষ, একুশে বাংলায় আসবে বিজেপি: দিলীপ ঘোষ

শরণানন্দ দাস, কলকাতা: বাংলায় লুটের রাজত্বের দিন শেষ, একুশে বাংলায় আসবে বিজেপি। পশ্চিম মেদিনীপুরের হরিপুরের সভায় ঘোষণা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। শুক্রবার খড়গপুরে দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধন করে নারায়ণগড়ের বেলতি ও বাঁশচটিতে গৃহসম্পর্ক অভিযানে অংশ নেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। এরপর এদিন সন্ধ্যায় হরিপুরের সভায় হাজির হন দিলীপ ঘোষ।
তিনি বলেন, ‘ বাংলার মানুষ পরিবর্তন চাইছেন। আর সেই পরিবর্তন আনতে পারে একমাত্র বিজেপি। তাই স্পষ্ট বলছি, ভয় দেখানোর দিন শেষ, লুটের দিন শেষ। একুশে বাংলায় আসবে বিজেপি।’
মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, ‘ অত্যাচার,সন্ত্রাস করে চিরদিন ক্ষমতায় থাকতে পারে। এতবড় কংগ্রেস পার্টি, আজ তার কী অবস্থা। মায়াবতী, লালুপ্রসাদ, মুলায়ম সিং যাদব তাঁরা আজ কোথায়! এই যে সিপিএম ৩৪ বছর সন্ত্রাস করে ক্ষমতায় ছিল, আজ সব ইঁদুরের গর্তে গিয়ে ঢুকেছে। দিদিমণির সরকারেরও দিন শেষ।’
এদিন তিনি একুশের নির্বাচন কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে হবে বলে ঘোষণা করেন। দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ আপনারা হয়তো ভাবছেন ভোট দিতে বুথে যেতে পারবেন কি না? আমি আপনাদের বলছি রাজ্য পুলিশকে বুথের ১০০ গজের বাইরে রেখে দেব। দিল্লি থেকে পুলিশ এসে ভোট করাবে। সুতরাং আপনাদের চিন্তার কোন কারণ নেই।’
বৃহস্পতিবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ভার কনভয়ের হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন তিনি। মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, ”নাড্ডাজির গাড়ি বুলেটপ্রুফ ছিল বলে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। কৈলাসজি, মুকুলদা, রাহুল দা, অনুপম হাজরা সবাই আহত হয়েছেন। বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো রাজনৈতিক দলের সভাপতি এলেন, তাঁর কনভয়ের এমন হামলা! এটা কী সরকার চলছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়েছেন আমাদের দলের ১৩০ জন সদস্য। ২৮ হাজার কেস রয়েছে আমাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে। আমার বিরুদ্ধে ৪০টা কেস ছিল। আরও একটা হয়েছে শিলিগুড়িতে। দিদি আপনি শুধু কেস দিয়ে পারবেন। কেস দেওয়া ছাড়া আর কিছু দেওয়ার ক্ষমতা নেই আপনার। কিন্তু এভাবে বিজেপিকে রোখা যাবে না। অসম, ত্রিপুরা, মণিপুর, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক, বিহার কোথাও বিজেপিকে আটকাতে পারে নি।’
এদিন রাজ্যের পুলিশ বাহিনীর রাজনীতি করতেন অভিযোগ করে বলেন, ‘ তৃণমূলের হাফ ইঞ্চি নেতারা পুলিশকে চমকাচ্ছে। পুলিশের এমন দুর্দিনে কখনও আসেনি। এই অরাজকতা একমাত্র বিজেপি বন্ধ করতে পারে। বিহারে আমাদের সঙ্গে থেকে নীতিশ কুমার ৪ বার মুখ্যমন্ত্রী হলেন। ‘
তিনি বলেন, ‘ বাংলার মানুষ বিজেপিকে চাইছেন। আজ খড়গপুরে পার্টি অফিস উদ্বোধন করে নারায়ণগড়ে এলাম। মা বোনেরা বরণ করলেন, শঙ্খ বাজিয়ে স্বাগত জানালেন। বাংলার মানুষ বুঝিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা বিজেপিকে চাইছেন। তৃণমূলের অত্যাচারের ঘড়া ভরে গিয়েছে। বিজেপি এক একটা রাজ্যে ৫ বার, ৭ বার জিতছে। কারণ বিজেপি গণতন্ত্রকে সম্মান করে। বাংলার একুশে তাই বিজেপিকে বেছে নেবেন সাধারণ মানুষ।’