fbpx
পশ্চিমবঙ্গহেডলাইন

মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ প্রকাশের পরেই রাস্তা তৈরির কাজ দ্রুত শেষ করতে উদ্যোগী হল পূর্ব বর্ধমান প্রশাসন

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমান: ‘বাংলা গ্রামীণ সড়ক যোজনার’ কাজ নিয়ে মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনে বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কাজে অগ্রগতি আনার ব্যাপারে ওই দিন মু্খ্যমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করে ছিলেন জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু। তারপরেই জেলাশাসক জেলাপরিষদের কর্তাব্যক্তি ও আধিকারিদের নিয়ে বৈঠকে বসেন।

অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া কথা রাখতে বুধবার থেকে রাস্তার কাজের অগ্রগতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে সহ সভাধিপতি দেবু টুডু জেলার বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া শুরু করে দেন।বৃহস্পতিবারও তিনি রাস্তার কাজের অগ্রগতি নিয়ে জেলার বিভিন্ন ব্লকের জনপ্রতিনিধি কর্তাব্যক্তিদের কাছে খোঁজ খবর নেন।

বাংলা গ্রামীণ সড়ক যোজনার কাজে অগ্রগতি আনার ব্যাপারে এখন জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে জেলা প্রশাসনিক মহলে। জেলাপরিষদ সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু এদিন বলেন, জেলায় রাস্তার কাজের অগ্রগতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ দেখিয়েছেন। সেই কারণে রাস্তার কাজের হাল হকিকত সরেজমিনে তিনি খতিয়ে দেখছেন। কোথায় কি সমস্যা আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সমস্যা মিটিয়ে দ্রুত যাতে রাস্তার কাজ শেষ করা যায় সেই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে রাস্তার কাজের অগ্রগতি সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানে হবে।

সহ – সভাধিপতি এদিন আরও জানান, ‘বাংলা গ্রামীণ সড়ক যোজনা’ প্রকল্পে পূর্ব বর্ধমানকে আরও ১৫০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরির অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য সরকার।কোন কোন রাস্তাকে ওই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে তা নিয়ম অনুযায়ী জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ, জেলা-বাস্তুকার, এসআরডিএ ইঞ্জিনিয়রা আলোচনা করে তালিকা চুড়ান্ত করে সরকারের কাছে পাঠাবেন।

দেবু টুডু বলেন, রায়নার বাঁধাগাছা থেকে জামালপুরের ফতেরপুরের ৩৯ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে এসআরডিএ এখনও পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার রাস্তার জমি পেয়েছে।বাকি ৯ কিলোমিটার রাস্তার জমি এখনও মেলেনি বলে জানানো হয়েছে। রাস্তা তৈরির জন্য যে জমি পাওয়া গিয়েছে সেখানে পাথর ফেলার কাজ চলছে। এছাড়াও কালীবেলে থেকে বিট্রা বাজার( পি ডাব্লু রোড )পর্যন্ত ১৯ কিমি রাস্তার ১৩ কিমি কাজ হয়ে গেছে। উদ্ধারণপুর থেকে মৌগ্রাম ৬,৪৫ কিমি রাস্তার পুরোটায় পাথরের কাজ হয়ে গিয়েছে। বর্ষা শেষ হলে এই রাস্তার পিচের কাজ হবে । আউসা থেকে পালসিট ৭.৬৫ কিমি ও মেদগাছি থেকে সাসপুর ৬.২৬ কিমি রাস্তা এবং কুসুমগ্রাম থেকে কালনা ৭.১ কিমি রাস্তার পাথরে কাজ হয়েগিয়েছে। বর্ষা শেষে এখানে পিচের কাজ হবে।

এছাড়াও কুনসুড়ি থেকে উজ্জানালপুকুর পর্যন্ত ১০. ৯ কিমি রাস্তার ৯ কিমি পাথরের কাজ হয়েছে। বৈদ্যপুর রথতলা থেকে মাতিশ্বর পর্যন্ত ৯.৮ কিমি রাস্তার ৫ কিমি , বরোগাছি থেকে শোরডাঙ্গা ১১.৯ কিমির মধ্যে ৪ কিমি রাস্তায় পাথরের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। বাকি অংশে পাথরের কাজ চলছে। দেবু টুডু বলেন, মান ঠিক রেখে তাড়াতাড়ি যাতে রাস্তার কাজ শেষ করা যায় তার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

Related Articles

Back to top button
Close