শিক্ষাবর্ষ শুরু নিয়ে উপাচার্যদের মতামতকে গুরুত্ব দিচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শিক্ষাবর্ষ শুরু নিয়ে উপাচার্যদের মতামতকে প্রাধান্য দিতে চাইছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বুধবার এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। গতকাল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী ইউজিসির নতুন গাইডলাইন নিয়ে ইতিমধ্যেই উপাচার্য সহ-উপাচার্যদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, ” ইউজিসির শিক্ষাবর্ষ শুরু নিয়ে গাইডলাইন দেখেছি। উপাচার্যদের মতামত চাওয়া হবে। উপাচার্যদের মতামত শুনেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত আমরা নেব।”
প্রসঙ্গত, ইউজিসি পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে চূড়ান্ত বর্ষ পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে। রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে যাতে অক্টোবরের শেষের দিকে এর ফল প্রকাশিত হয়। এতে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি শিগগিরই শুরু করা যায়। ইউজিসির জুলাই নির্দেশিকাতে, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। করোনা এবং আমফান পরিস্থিতির জেরে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা না নেওয়ার পক্ষে সোওয়াল করেছিল রাজ্য। কিন্তু মঞ্জুরি কমিশনের সুপারিশে সুপ্রিম কোর্টের শিলমোহর পরেতেই নড়েচড়ে বসে কলেজ বিশ্ব বিদ্যালয়গুলি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে স্পষ্ট করে দেওয়া হয় স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা নিতেই হবে। সেইমতো শিক্ষাদফতরের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নিজেদের পরীক্ষাসূচি স্থির করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে মত দেয়। যাবতীয় পরিকল্পনা স্থির করে ইউজিসিতে তা পাঠানো হয় রাজ্যের তরফে।
আরও পড়ুন:শীতের আগেই ৫ লক্ষ Rapid অ্যান্টিজেন টেস্ট কিট কিনতে চলেছে স্বাস্থ্য দফতর
মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপও চেয়েছিলেন। পরে আগস্টে সুপ্রিম কোর্ট ইউজিসির এই নির্দেশকে সমর্থন করে যে, চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা না লিখে শিক্ষার্থীদের পদোন্নতি দেওয়া যাবে না। তবে আদালত ৩০ সেপ্টেম্বরের সময়সীমা অতিক্রম করে পরীক্ষা স্থগিত করার জন্য রাজ্যগুলিকে স্বাধীনতা দিয়েছে। এরপর পশ্চিমবঙ্গ সরকার ইউজিসির কাছে অক্টোবরে নতুন তারিখ নিয়ে যোগাযোগ করে।