কৃষিক্ষেত্রে দালাল ও ফড়ে রাজের অবসান, স্বর্ণ যুগের সূচনা

শ্যামলকান্তি বিশ্বাস: নয়া কৃষি বিল কার্যকরের মধ্য দিয়ে ভারতের কৃষি ক্ষেত্রে সত্যিকারের স্বাধীনতা অর্জন করলেন দেশের কৃষকেরা। স্বাধীনতার পর সুদীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও বিজেপি ব্যতিরেকে দেশের অন্য কোনও রাজনৈতিক দল শুধুমাত্র সদিচ্ছার অভাবে যে কাজটি করতে পারেনি, নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদিজীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার সেই কাজটি করে দেখিয়ে, কৃষি ক্ষেত্রে স্বর্ণ যুগের সূচনা করলেন। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির মুখে রীতিমত ঝামা ঘষে দিয়ে, বিজেপি তার বিজয় রথ উড়িয়ে দিল দেশব্যাপী।
ভালো কাজে বাধা অনেক, কাঁটা বেছানো থাকে ফলে, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের অস্থিত্ব প্রমাণের জন্য এই সময়ে পথে নামবে এটাই স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু আখেড়ে লাভ বিজেপির।
নয়া কৃষি বিলের বিশেষ বৈশিষ্ট্য, কৃষক তার উৎপাদিত ফসল নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী বাজার যাচাই করে বাড়িতে বসেই ই-ট্রেডিং এর মাধ্যমে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি করতে পারবে।এই সংস্কার যুক্ত জনস্বার্থ বাহী কৃষি বিলের বিরোধিতায় সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটে কংগ্রেস কিংবা সিপিএম পথে নেমেছে নিজেদের অস্থিত্ব রক্ষার জন্য, আর এ রাজ্যে শাসক তৃণমূল পথে নেমেছে ফোঁড়ে রাজের সমর্থনে কাটমানি কামানোর আশায়, বিরোধীদের আন্দোলনের মূল বৈশিষ্ট্য সহ পার্থক্য এই টুকুই। দেশের সর্বস্তরে নয়া কৃষি আইনের সমর্থনে ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মী সমর্থকেরা জনতার দরবারে পৌঁছে গেছে। নয়া কৃষি বিলের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ সহ ধারাগুলি বোঝানোর চেষ্টায় ব্রতী হয়েছেন তারা। বিরোধীদের কাজ তথ্য বিকৃত করা আর কেন্দ্রের শাসক বিজেপি নেতৃত্বের কাজ দলীয় গণসংগঠনগুলির কর্মী সমর্থকদের সন্মিলিত প্রচেষ্টায় জনতার দরবারে সঠিক তথ্য তুলে ধরার মধ্য দিয়ে জনসংযোগ স্থাপন করা।
(মতামত নিজস্ব)