
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আতঙ্ক সঙ্গে নিয়েই নিউ নর্মালে খুলে গিয়েছে অফিস, আদালত ও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলি। আনলক পর্বে প্রায় সমস্ত পরিষেবা মোটামুটি স্বাভাবিক হয়ে এলেও লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় জীবন-জীবিকার উপরে চাপ পড়ছে। কর্মস্থলে পৌঁছতে না পেরে কাজ হারাচ্ছেন অনেকেই। ধীরে ধীরে ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে আমজনতার। রুজি-রুটির প্রশ্নে আর কতদিনই বা আপস করবেন তাঁরা! ক্ষোভ জমছে সর্বত্রই।তবে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্কে এখনও অন্য একাধিক রাজ্যের মতোই এরাজ্যেও বন্ধ রয়েছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের যাতায়াতের জন্য চলছে কয়েকটি স্পেশাল ট্রেন।
তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে মূলত গরিব পরিবারগুলির স্বার্থেই এবার লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু করে দেওয়া উচিত বলে মনে করেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। টুইটে সুজন চক্রবর্তী লিখেছেন, ”অফিস, কাছারি সব খুলে গেছে। অনেক বেশি খরচ করে কাজে যেতে বাধ্য মানুষ। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে মূল যাতায়াত তো ট্রেন নির্ভর। ট্রেন এবং সরকারি পরিবহন বন্ধ রাখলে গরিব মানুষ যাতায়াত করবে কিভাবে? স্বাস্থ্যবিধি মান্য করেই অবিলম্বে সংখ্যায় বেশি লোকাল ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা করুক সরকার।”
আরও পড়ুন: করোনা আবহে খুলে যাচ্ছে অক্ষরধাম মন্দির
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। প্রতিদিন বাড়ছে সংক্রমণ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। সোমবারও রাজ্যে নতুন করে সাড়ে ৩ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীও। উত্সবের মরশুমে প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে করোনার সংক্রমণ বেড়ে চলা নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিত্সকরাও। ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়ে তাঁরা চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে।