গৃহবন্দি খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দিচ্ছে না হাসিনা সরকার

যুগশঙ্খ প্রতিবেদন, ঢাকা: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য অনুমোদন দিচ্ছে না হাসিনা সরকার। পাশাপাশি মারাত্মক অসুস্থ বেগম জিয়াকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ।
বিএনপির সিনিয়র নেতা ও খালেদা জিয়ার বড় দিদি সেলিমা ইসলাম অভিযোগ করেছেন, খালেদাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে আবেদন করা হলেও হাসিনা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না।
দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মানবিক বিবেচনায় গত ২৫ মার্চ প্রথম দফায় সাজা স্থগিত করে মুক্তি দেয় হাসিনা সরকার। সেই ছয় মাস শেষ হলে দ্বিতীয় দফায় পরিবারের আবেদনে আবারও ছয় মাসের জন্য মুক্তির মেয়াদ বাড়ায় সরকার। এরমাঝে বিএনপি ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে অসুস্থ বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থার কথা তুলে ধরে তার সুচিকিৎসায় বিদেশে নিতে বারবার সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছে।
খালেদা জিয়ার বোন বেগম সেলিমা ইসলাম বলেন, ‘আমরা তো আবেদন করেছি, পারমিশন তো হয় নাই। দ্বিতীয়বার যখন আরও ছয় মাস জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছে তখন আবেদন করা হয়েছিল। আবেদনে বলা হয়েছিল যে, আমরা বেগম জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে চাই।’
বেগম জিয়ার পরিবার বা বিএনপি থেকে কোনও আবেদন এখনও মন্ত্রকে বা তার কাছে আসেনি বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ আবেদন করলে তা বিবেচনা করবে সরকার।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আমার কাছে এখন পর্যন্ত এরকম কোনো আবেদন আসেনি। কোথায় যাবেন, কি করবেন, সেটা বুঝে শুনে আমরা সিদ্ধান্ত নিব।’
এদিকে আবারও বেগম জিয়াকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতারা। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজকে গৃহবন্দী অবস্থায় আছেন। তিনি জামিন পান নাই। তার জামিন পাওয়া যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও তাকে জামিন দেওয়া হয় নাই। বেগম জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার জন্য তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছে।’
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় বেগম জিয়াকে ১৭ বছরের কারাদ- দেন আদালত। এরপর ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান তিনি। অসুস্থ থাকায় সেখান থেকে কয়েক দফায় নেয়া হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে। কারাভোগের ২ বছর একমাস ১৭দিন পর মুক্ত হয়ে গুলশানের বাড়িতে ফেরেন বেগম জিয়া। এরপর থেকে সেখানেই আছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী।