fbpx
পশ্চিমবঙ্গহেডলাইন

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকায় নাম রয়েছে পুলিশকর্মী, শিক্ষক ও তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রধান

মিল্টন পাল, মালদা: কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় নাম রয়েছে পুলিশকর্মী, শিক্ষক ও তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রধানের ঘনিষ্টদের। আর সাধারণ মানুষ ঘর না পেয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। অভিযোগ, যাদের ঘর রয়েছে তাদের আবার নতুন করে ঘর দেওয়া হয়েছে। মালদার ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েতে এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। আর এই ঘর বিলি নিয়ে শুরু হয়েছে জেলায় রাজনৈতিক চাপানউতোর।

জানা গিয়েছে, ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় ৩০০ থেকে সাড়ে ৩৫০ পরিবার রয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকশো পরিবার রয়েছে খুবই গরীব। তাদের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে প্রধানমন্ত্রী আবাস (বাংলা আবাস) যোজনার ঘর বরাদ্দ করা হয়। সেইমতো গ্রামবাসীরা ঘরের জন্য আবেদন করেন। অথচ দেখা যায় সম্প্রতি একটি ঘরের তালিকা বেরিয়েছে। সেই তালিকায় নাম রয়েছে পুলিশ, শিক্ষক সহ সরকারি কর্মীদের। এমনকি তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধানের ঘনিষ্ঠ ও তার স্ত্রীর নামে ঘর বরাদ্দ হয়েছে। অথচ আবেদন করেও ঘর  মেলেনি সাধারণ গ্রামবাসীদের। তাই গ্রামের বাসিন্দারা ঘরের দাবিতে বাধ্য হয়ে এদিন গ্রাম পঞ্চায়েত ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। অবশেষে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে।

গ্রামের বাসিন্দা আরতী দাস জানান, টানা বৃষ্টির কারণে এমনিতেই ঘরবাড়ির অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে গেছে। যেকোনো সময় ভেঙে পড়বে। এমত অবস্থায় গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে ঘরের জন্য আবেদন করেছিলাম। সেইমতো সম্প্রতি বাংলা আবাস যোজনা ঘরের তালিকা বের হয়। সেখানে দেখতে পাই যারা আবেদন করেছিল তাদের নাম নেই। যারা ঘর পাওয়ার যোগ্য তাদের কোনো কিছুই নেই। তালিকায় নাম রয়েছে পুলিশ, শিক্ষক,পঞ্চায়েত প্রধানের স্ত্রী সহ ঘনিষ্টদের নাম। এই নিয়ে প্রধানের কাছে যাওয়া হলে প্রধান এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিচ্ছিল না। আবার নতুন করে ঘরের আবেদনের জন্য ফরম নিতে গেলে তাও দেওয়া হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে গ্রামবাসীরা ঘরের দাবি নিয়ে পঞ্চায়েত দফতরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে।

[আরও পড়ুন- বেতন না পেয়ে শ্রমদফতরের SLO কর্মীদের স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে]

ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মুজিবুর রহমান বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ ভিত্তিহীন। এখন ফর্ম নেওয়ার সময় পার হয়ে গিয়েছে। এটা বিরোধীদের চক্রান্ত। যারা নিয়ম মেনে আবেদন করেছিল তাদের তালিকায় নাম রয়েছে। জেলা বিজেপির সহ সভাপতি অজয় গাঙ্গুলি বলেন, তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ এটা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। কাটমানি ছাড়া এরাজ্যে কিছু হয়না। সুতরাং যারা কাটমানি দিতে পারেনি যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তাদের ঘর দেওয়া হয়নি। সেই কারণে সেখানে পুলিশ শিক্ষকদের নাম রয়েছে। অবিলম্বে গ্রামবাসীদের ঘর দিতে হবে না হলে আমরা গ্রামবাসীদের নিয়ে সাধারণ মানুষের স্বার্থে আন্দোলনে নামবে।

মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দেবপ্রিয় সাহা বলেন, গোটা ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল নেতা দেবপ্রিয় সাহা বলেন অভিযোগ এসেছে, ঘটনার তদন্ত প্রশাসন করবে। সে ক্ষেত্রে যদি দোষী প্রমাণিত হয় তাহলে আইনি গত ভাবে যেমন ব্যবস্থা হবে দল ব্যবস্থা নেবে।

 

Related Articles

Back to top button
Close