গাছ থেকে আম পেড়ে খাওয়ার মাশুল! দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রকে কিল, চড় মেরে খুনের হুমকি! ভাইরাল ভিডিও

জেলা প্রতিনিধি, মালদা: মাঠে শরীরচর্চা করার সময় ভুলবশত গাছ থেকে একটি আম পেড়ে ছিল দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্র। এরপর যা ঘটল তা গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতো। আম বাগানের মালিক জোগানদার মিলে ওই ছাত্রকে গলা টিপে খুনের চেষ্টা, মারধর। এমনকী প্রকাশ্যেই বাঁশের খুঁটিতে হাত, পা বেঁধে চললো অকথ্য অত্যাচার। আর এই ছবি আশেপাশের কয়েকজন মোবাইলে তুলে ভাইরাল করে ফেললেন। যা নিয়ে মালদায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে ওই ছাত্রর ওপর নির্মম এই অত্যাচারের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সরব হয়েছে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন।
অবিলম্বে ওই আমবাগানের মালিক এবং এক জোগানদারকে গ্রেফতারের দাবি তোলা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে ইংরেজবাজার থানার মিল্কি গ্রাম পঞ্চায়েতের শোভানগর এলাকায়। দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রকে মারধরের প্রতিবাদ জানিয়ে আমবাগান মালিক অনিন্দ্য রায় এবং তার এক জোগানদারের বিরুদ্ধে মিল্কি পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত ছাত্রের পরিবার। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ছাত্রর নাম রাহুল কর্মকার (১৮)। সে শোভানগর উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। শোভানগর স্কুল পাড়া এলাকায় তার বাড়ি। অভিযুক্ত আম বাগান মালিক অনিদ্র ঝায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের।তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
আক্রান্ত ছাত্রের অভিযোগ, এদিন বিকেলে বাড়ির পাশের খেলার মাঠে শরীরচর্চা করছিল। সেসময় বাগান থেকে একটি আম সে পেরেছিল। আর তা দেখে নেই ওই বাগানের মালিক এবং যোগানদার। এরপরই তারা ওই ছাত্রকে ধরে হাত-পা বেঁধে গলা টিপে খুনের চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ। প্রকাশ্যেই কিল , চড় , ঘুষি মারা হয় এরপর দড়ি দিয়ে বাঁশের খুঁটিতে ওই ছাত্রকে বেঁধে রাখা হয়। কয়েক ঘন্টা চলে নির্মম অত্যাচার। আশেপাশের গ্রামবাসীরা দেখেও প্রতিবাদ করার সাহস পায় নি। তবে গোপনে জনৈক এক যুবক ওই ছাত্রের ওপর নির্মম অত্যাচারের ছবি মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করে। আর তারপর সেটা ভাইরাল করে দেয়। বিষয়টি ভাইরাল হতেই জেলাজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় শুরু হয়েছে।
পরে অবশ্য পরিবারের লোকেরা ছুটে আসলে আক্রান্ত ছাত্র রেহাই পাই। কিন্তু ততক্ষণে ওই ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এই ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি প্রসূণ রায়। তিনি বলেন, এই ধরনের ঘটনা কোনওভাবে বরদাস্ত করা যায় না। আমরা ধিক্কার জানাচ্ছি।
পুলিশ সুপার অলক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, ঘটনাটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ওই বাগানমালিক, জোগানদারের খোঁজ চালানো হচ্ছে।