ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজের সর্বোচ্চ দাম ১০০০ টাকা, ভারতে মিলবে ফেব্রুয়ারিতেই: সিরাম ইন্সটিটিউট

যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা কাঁটায় জর্জরিত গোটা মানবজাতি। কবে এই মারণ ভাইরাস থেকে মুক্তি মিলবে জানা নেই। যদিও এরই মাঝে ভারতে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির তৈরি করোনার ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের সর্বোচ্চ দাম কত হবে তা জানিয়ে দেওয়া হল। এই দাম পড়বে প্রায় ১০০০ টাকা৷ হ্যাঁ এমনটাই জানালেন সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালাই৷
আদর পুনাওয়ালার দাবি, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই স্বাস্থ্যকর্মী এবং বয়স্কদের জন্য এই ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে৷ আর আগামী এপ্রিল মাস থেকেই তা সবার জন্য দেশের বাজারে মিলবে৷ তবে সবটাই নির্ভর করছে চূড়ান্ত পর্বের ট্রায়ালের রিপোর্ট এবং সরকারি অনুমোদনের উপরে৷ সামিটে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের মধ্যেই প্রত্যেক ভারতীয়ের করোনার টিকাকরণ হয়ে যাওয়ার কথা৷
পুনাওয়ালা আরও জানিয়েছেন, এমনিতে বাজারে এই ভ্যাকসিনের প্রতিটি ডোজের দাম থাকবে ৫ থেকে ৬ মার্কিন ডলারের মধ্যে৷ সেই হিসেবে দু’টি ডোজের সর্বাধিক দাম পড়বে ১০০০ টাকা৷ তবে ভারত সরকার আরও কম দামে এই ভ্যাকসিন কিনবে৷
আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল এক পরিবারের ১৪ জনের, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর
বাজারে অন্যান্য যে ভ্যাকসিনগুলি রয়েছে, তার তুলনায় অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের দাম কম রাখা হচ্ছে বলেই দাবি পুনাওয়ালার৷ তিনি আরও দাবি করেছেন, অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা যথেষ্ট ভাল এবং ট্রায়ালে তা বয়স্ক মানুষের শরীরেও খুব ভাল কাজ করেছে৷ পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর শরীরে টি- সেল তৈরি হচ্ছে, যা করোনার বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদী প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার ইঙ্গিত৷ কিন্তু বাস্তবে সত্যিই কতটা দীর্ঘ সময় ধরে করে কোনও ভ্যাকসিন মানবদেহে করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা ধরে রাখবে, তা এখনই কারও পক্ষে বলা সম্ভব নয় বলে দাবি পুনাওয়ালার৷
ব্রিটেনের সরকারি কর্তৃপক্ষ এবং ইউরোপিয়ান মেডিসিনস ইভ্যালুয়েশন এজেন্সি জরুরি ভিত্তিতে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের অনুমতি দিলেই ভারতেও এই ভ্যাকসিনের ইমার্জেন্সি ব্যবহারের জন্য ড্রাগ কন্ট্রোলারের কাছে সিরাম ইন্সস্টিটিউট আবেদন করবে বলে জানিয়েছেন পুনাওয়ালা৷ তবে জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদন পেলেও শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর্মী, সামনের সারিতে থাকা করোনা যোদ্ধা এবং বয়স্কদের উপরেই এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে৷ তবে যতক্ষণ না এই ভ্যাকসিন মানুষের জন্য ১০০ শতাংশ নিরাপদ বলে প্রমাণিত হচ্ছে, ততদিন তা শিশুদের উপরে প্রয়োগ করা হবে না বলেই জানিয়েছেন পুনাওয়ালা৷