
শরণানন্দ দাস, কলকাতা: সেদিন মিত্তির গিন্নী সর্ষে ইলিশের আব্দার করে মুখঝামটা খেয়েছিলেন কত্তার কাছে। খাবেন নাকি বা কেন, হেঁসেল টানতে নাভিশ্বাস মধ্যবিত্তের। আলু, পেঁয়াজের দামে ছ্যাঁকা খাচ্ছেন আমজনতা। তাঁর উপর পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সর্ষের তেলের দাম। মিত্তির বাবু সেদিন তাই প্রতিবেশী পালবাবুকে বলছিলেন, ‘ ব্যাকরণ বইয়ে সর্ষেফুল, ধুতরোফুল দেখার কথা পড়েছিলুম। এবার একেবারে চাক্ষুষ করলুম হে।
বাস্তবিকই গরম ভাতে আলু সিদ্ধ কাঁচা লঙ্কা আর সর্ষের তেলের মেখে খাওয়াও এখন বিলাসিতা। সর্ষে ইলিশ, কিম্বা এই শীতে তেল কইতো দুরস্ত। যতই সরকারি হম্বিতম্বি চলুক, আলুর দাম ৪৮ থেকে ৫০ টাকা কেজির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে, পেঁয়াজের দর সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে। এরই মাঝে সর্ষের তেলের দামও বাড়লো।
বাজারদর বলছে এপ্রিল থেকে নভেম্বরের মধ্যে দাম বেড়েছে ১২ শতাংশ। গত বছর এই ৮ মাসে যে হারে সর্ষের তেলের দাম বেড়েছিল এ বছরে তার তুলনায় ৩.৮৯ শতাংশ বেশি হারে দাম বেড়েছে । একটি নামি ব্র্যান্ডের সর্ষের তেলের দাম একমাসে লিটার প্রতি দাম বেড়েছে ২০ টাকা, ১৪৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৬৫ টাকা। বাকি ব্র্যান্ডের সর্ষের তেলের দামেও উনিশ বিশের ফারাক। ঘানির বা খুচরো তেলের দাম প্রতি কেজিতে ১০ টাকা করে বেড়েছে। এখন দর যাচ্ছে ১২০ টাকা কেজি।এতদিন পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ায় পকেটে ছ্যাঁকা লেগেছে মধ্যবিত্তের। সর্ষের তেলের দামের বাড়বাড়ন্তে সত্যিই রান্নাঘরে ‘ আগুন’ লাগলো।