সুন্দরবনে নিজের বিয়ে নিজেই রুখল নাবালিকা ছাত্রী

শ্যাম বিশ্বাস, উত্তর ২৪ পরগনা: সুন্দরবনে নিজের বিয়ে নিজেই রুখে দিল নাবালিকা ছাত্রী। বসিরহাট মহাকুমার হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের সাহেবখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের দেউলি গ্রামের ঘটনা। ওই নাবালিকা নিজেই চাইল্ড লাইনের ১০৯৮ টোল-ফ্রি নম্বরে ফোন করে বিয়ে রুখে দেয়। ওই নাবালিকা ছাত্রীর বাড়ি সন্দেশখালি ব্লকের দক্ষিণ হাটগাছি গ্রামে।
বছর ১৫ নবালিকার বিয়ে ঠিক হয়েছিল হিঙ্গলগঞ্জ ব্লক এর দেউলী গ্রামের বছর ২২ এর যুবক সমরেশ মন্ডল এর সঙ্গে। এমনকি পাত্রীকে নিয়েও তার বাবা-মা পাত্রের বাড়ি হাজির হয় সকালে। রবিবার রাতে বিয়ের প্রস্তুতি শেষ প্যান্ডেল বাধা ভুরিভোজন এর প্রস্তুতি চলছিল।
সোমবার সকালে গায়ে হলুদও হয়ে যায় পাত্র-পাত্রীর। শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা বিয়ের। কিন্তু বিয়ে করতে নারাজ হয়ে যায় স্বয়ং পাত্রী। রবিবার সন্ধ্যেবেলা চাইল্ড লাইনের টোল ফ্রি নম্বর ১০৯৮ এ ফোন করে সে জানায় যে, তার মতের বিরুদ্ধে এই বিয়ে হচ্ছে। সে পড়াশোনা করতে চায়। চাইল্ড লাইনের সদস্য শফিকুল ইসলাম পাত্রীর পুরো ঠিকানা নিয়ে হিঙ্গলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকদের জানায়।
[আরও পড়ুন- ভ্রমণপ্রিয় বাঙালিদের জন্য সুখবর, সেপ্টেম্বর থেকে খুলছে পাহাড়র পর্যটনকেন্দ্রগুলি]
সোমবার সকালে হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিশ বিডিওর প্রতিনিধি চাইল্ড লাইনের সদস্যরা সটান হাজির হয় পাত্রের বাড়ি দেউলী গ্রামে। প্রথমে পাত্রীর বাড়ির বাবা রামকৃষ্ণ মৃধা ও মা অনিতা মৃধা তাদের মেয়ের বিয়ে বন্ধ করতে রাজি ছিলনা।
ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় বিডিও। এরপর ওই নাবালিকার বাবা-মাকে বোঝানোর পর বিয়ে বন্ধ হয়ে যায়। সন্দেশখালির লক্ষীকান্তপুর পূর্ণ চন্দ্রপুর কানমারী শিক্ষা নিকেতনের এই নাবালিকা দশম শ্রেণির ছাত্রী যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে তা দেখে উদ্বুদ্ধ তার সহপাঠীরা। তারা আগামী দিনে এই ছাত্রীকে নিয়ে গ্রামে গ্রামে বাল্যবিবাহ রোধের প্রচার চালাবে বলে জানা গিয়েছে।