fbpx
পশ্চিমবঙ্গহেডলাইন

বেলঘরিয়ায় গৃহবধূর রহস্যজনক মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য, ধৃত স্বামী

অলোক কুমার ঘোষ, ব্যারাকপুর: এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হল উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘরিয়ার যতীনদাস নগর এলাকায়। মৃত ওই গৃহবধূর নাম জানা গেছে সোনালি সাহা ওরফে মিঠু (৩২)। এই ঘটনায় বেলঘরিয়া থানার পুলিশ মৃতের স্বামী নন্দদুলাল সাহাকে গ্রেপ্তার করেছে। রবিবার রাতে ওই মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। সোমবার ওই গৃহবধূরমৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।

জানা গেছে, রবিবার বিকেলে সাহা দম্পতির মধ্যে তুমুল বচসা হয়। প্রতিবেশীরা বলেন, স্ত্রী সোমালি তার স্বামী নন্দদুলালকে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের বিষয় নিয়ে সন্দেহ করত। তা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই অশান্তি চলছিল। নন্দদুলাল পেশায় প্রোমোটার। রবিবার বিকেলে এই দম্পতির মধ্যে অশান্তি হলে উভয়ের চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পান প্রতিবেশীরা। এরপরই হঠাৎ সব নিস্তব্ধ হয়ে যায়। কিছুক্ষন পর সোমালি দেবীর মৃতদেহ উদ্ধার হয় তাদের ফ্ল্যাট থেকে। পুলিশ সূত্রের খবর, সোমালি দেবীকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তার স্বামী কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল।

[আরও পড়ুন- গোষ্ঠী কোন্দলের জের, শাসকদল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ ২৫০টি পরিবারের]

সেখানে চিকিৎসকরা জানায়, ওই মহিলার হাসপাতালে আসার আগেই মৃত্যু হয়েছে। পাড়া প্রতিবেশীরা এই খবর পেয়ে বেলঘরিয়া থানার পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী নন্দদুলালকে ওই হাসপাতাল থেকে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে, রাতে মৃতের পরিবারের সদস্যদের খুনের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তকে। মৃতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, “নন্দদুলাল সাহা নিজেই তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে দেহ নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে নন্দদুলাল তার স্ত্রীকে মারধর করত। ৯ বছর আগে সাহা দম্পতির বিয়ে হয়েছিল, তাদের একটি সন্তান রয়েছে। নন্দদুলাল এক মহিলার সঙ্গে সম্প্রতি ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল। তা সোমালি জানতে পেরে যাওয়ায় উভয়ের মধ্যে অশান্তি চরমে ওঠে। তার জেরেই এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।”

পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে দেহটি সোমবার ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। এই ঘটনায় মৃতের স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবারের সদস্যরা। বেলঘরিয়া থানার পুলিশ অভিযুক্ত নন্দদুলালকে জেরা করে ঘটনার সত্যতা জানতে চাইছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বেলঘরিয়া থানার পুলিশ।

 

 

 

Related Articles

Back to top button
Close