ভাতারে যুবকের রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য
দিব্যেন্দু রায়, ভাতার: এক যুবকের রহস্যজনকভাবে মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল ভাতারে। মৃত যুবকের নাম ফখরুদ্দিন শেখ(৩৭)। তাঁর বাড়ি ভাতার থানার হরিবাটি গ্রামে । সোমবারে রাতে খাওয়া দাওয়া সেরে শোয়ার কিছুক্ষনের মধ্যেই যুবকের স্ত্রী প্রতিবেশীদের ফোন করে তাঁর মৃত্যু সংবাদ জানান। প্রতিবেশী ও মৃতের আত্মীয়স্বজনরা ফখরুদ্দিনের হঠাৎ মৃত্যুর ঘটনায় সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। যদিও এনিয়ে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত থানায় নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলে জানা গেছে ৷ পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রজু করেছে।
জানা গেছে, ভাতারের হরিবাটি গ্রামের বাসিন্দা পেশায় চাষী ফখরুদ্দিন শেখ ওরফে কলমের বাড়িতে আছেন বাবা এনোস শেখ, মা ঝর্ণা বেগম,স্ত্রী রেখা বেগম ও চার বছরের মেয়ে সাবানা। ফখরুদ্দিনের বাবা মা দুজনেই অসুস্থ। তাই কোনো কোনো দিন রাতে বাবা মায়ের দেখভালের জন্য তাঁদের ঘরে শুতে হত ফকরুদ্দিনকে। অবশ্য বেশিরভাগ দিন রাতেই তিনি স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গেই শুতেন।
স্থানীয় সুত্রে খবর, প্রতি দিন সন্ধ্যা থেকে পাড়ার ক্লাবে বন্ধুদের সঙ্গে তাস খেলা অভ্যাস ছিল ফখরুদ্দিনের। সোমবার সন্ধ্যায় যথারীতি তিনি ক্লাবে চলে যান তাস খেলতে। তারপর রাত্রি দশটা নাগাদ তিনি বাড়ি ফিরে খাওয়া দাওয়া সেরে স্ত্রী ও মেয়ের কাছে শুতে চলে যান । এর কিছুক্ষন পরেই পাড়া প্রতিবেশীদের ফোন করে ফখরুদ্দিনের মৃত্যু সংবাদ জানান তাঁর স্ত্রী।
মৃতের প্রতিবেশী খোকন শেখ বলেন, “সোমবার রাত ১১- ১৫ নাগাদ কলমের স্ত্রী আমায় ফোন করে জানান কলম মারা গেছে। এই খবর শোনার পর আমরা কয়েকজন ওদের বাড়িতে যাই। গিয়ে দেখি বিছানায় কলমের নিস্তেজ দেহ পড়ে রয়েছে। কলমের এভাবে মৃত্যু আমাদের অবাক করে দিয়েছে । এভাবে একজন সুস্থ সবল যুবক আচমকা মারা যেতে পারে না৷”
জানা গেছে, এদিন মৃতের আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা মিলে মৃত যুবকের দেহ থানার নিয়ে আসেন। তাঁরা পুলিশের কাছে ওই যুবকের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তের দাবি জানান। পুলিশ জানিয়েছে, দেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।