লকডাউনে পুলিশের মানবিক মুখ দেখলো ভাতারবাসী

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমান: লকডাইন সফল করতে বৃহস্পতিবার কড়া মনোভাব নিয়ে পথে নেমেছিল পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। তবু তারই মধ্যে এদিন পুলিশের মনবিক মুখও দেখলো জেলার ভাতারবাসী।
খিদের জ্বালায় এদিন দুপুরে ভাতারে আলিনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বসে চোখের জল ফেলছিল দুই মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি। এদিন টহলদারির সময়ে ওই দুই মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে সেখানে দেখতে পান ভাতার থানার পুলিশ অফিসার মহম্মদ সফিউদ্দিন। তৎক্ষণাত তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে পড়েন। সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে তিনি সোজা পৌঁছে যান ওই দুঃস্থদের কাছে। মানসিক ভারসাম্যহীনদের মুখ থেকে তাদের দুর্দশার কথা শুনে মহম্মদ সফিউদ্দিন ব্যাথিত হন। নিজের খাওয়ার জন্য পুলিশ গাড়িতে তিনি যে বিস্কুট, কেক ও জলের বোতল কিনে রেখেছিলেন তা ওই অসহায় দুটি মানুষের হাতে তুলে দেন। সেইসব খেয়েই খুদা নিবারন করেন ওই দুই মানসিক ভারসাম্যহীন দুঃস্থ ব্যক্তি।শুক্রবারও যাতে ওই দুই দুঃস্থ ব্যক্তিকে হানাহারে দিন কাটাতে না হয় তার জন্য কিছু একটা করা হবে বলে ওই পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন।
করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় রাজ্য সরকার বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার পর পর দু’দিন গোটা রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করেছে। লকডাউন সফল করতে এদিন সকাল থেকে পুলিশ কড়া মনোভাব নিয়ে পথে নামে। ফলে রাজ্যের অন্যান্য অংশের পাশাপাশি ভাতার থানা এলাকাতেও এদিন দোকান বাজার সবই ছিল বন্ধ। আর তাতেই বিপাকে পড়ে যান মানষিক ভারসাম্যহীন এই দুই দুঃস্থ ব্যক্তি।
ভাতার গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য স্যাম সোরেন বলেন, ওই দুই মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি পথে ঘাটে ঘুরে বিভিন্ন জনের কাছে চেয়ে যেটুকু খাবার পায় তা দিয়েই পেট ভরায়। লকডাউনে দোকান বাজার বন্ধ , পথে ঘাটে লোকজনও নেই । ফলে তারা এদিন খাবারের জন্য সমস্যায় পড়ে গিয়েছিল। ওই দুই মানসিক ভারসাম্যহীন দুঃস্থর পাশে দাঁড়িয়ে ভাতার থানার পুলিশ এদিন মানবিকতার পরিচয় রাখলো।