যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: ফের সংঘাত রাজ্যপাল ও রাজ্যের। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ডেকে পাঠিয়েছেন ধনকর। টুইটে একটি ভিডিও আপলোড করে সেকথা জানিয়েছেন রাজ্যপাল। পুলিশ কার্যত দলদাসের মতো কাজ করছে বলেই দাবি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের। বিরোধী দলের নেতানেত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁর। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ব্যাখ্যাও চেয়েছেন রাজ্যপাল। ‘রাজ্যের ভেঙে পড়া আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য @MamataOfficial কে ডেকেছি। তাঁর কাছ থেকেই সরাসরি আমি শুনতে চাই।’
রাজ্যপাল বৃহস্পতিবার একটি ভিডিও বার্তা টুইট করে বলেন, ‘বিরোধী নেতানেত্রী, সাংসদ, বিধায়কদের উপর যেভাবে পুলিশ জুলুমবাজি চালাচ্ছে তা মানা যায় না। পুলিশ কার্যত শাসকদলের কর্মীদের মতো আচরণ করছে। গণতন্ত্রে এ জিনিস বরদাস্ত করা হবে না। রাজ্যের ভেঙে পড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ডেকেছি। তাঁর কাছ থেকেই সরাসরি আমি শুনতে চাই।’
Given enormity of decline in law and order @MamataOfficial have urged CM to urgently brief me.
This as Political Leaders and opposition MPs and MLAs being virtually hunted out of public space by partisan police acting as political workers.
This cannot be allowed in democracy. pic.twitter.com/Sqz0kDoxSF
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) July 23, 2020
তৃণমূলের অঙ্গুলীহেলনেই এরাজ্যে পুলিশ প্রশাসন কাজ করছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যপাল। এপ্রসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, ‘পুলিশ কার্যত শাসক দলের কর্মীদের মতো আচরণ করছে। গণতন্ত্রে এ জিনিস বরদাস্ত করা হবে না।’ এরাজ্যে রাজ্যপালের দায়িত্ব নিয়ে আসার পর থেকেই নানা ইস্যুতে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যের শিক্ষা, স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন: করোনা পরিস্থিতিতে সেপ্টেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ফাইনাল পরীক্ষা, গাইডলাইন মানতে নারাজ রাজ্য
সাম্প্রতিক সময়ে করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা নিয়েও রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হয়েছেন রাজ্যপাল। রেশন বণ্টন ও আমফানের ক্ষতিপূরণ নিয়েও রাজ্যে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ ধনকরের। বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়, বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং এবং তাঁর ছেলে পবন সিংকে এনকাউন্টার করে হত্যার ছক কষছে রাজ্য পুলিশ। সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই পুলিশ তাঁর বাড়িতে হানা দেয় বলেও অভিযোগ করেন বিজেপি সাংসদ। রাজ্যপালের কাছে সে বিষয়টি জানান অর্জুন সিং। ছাড়াও CESC’র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আমফান পরবর্তী পরিস্থিতিতে রাস্তা অবরোধ করায় চাঁপদানির বিধায়ক চূড়ান্ত পুলিশি হেনস্তার শিকার হন বলেও অভিযোগ ওঠে। আব্দুল মান্নান এ বিষয়টি রাজ্যপালকে চিঠি লিখেও জানান। প্রত্যেকের অভিযোগ পেয়েই ভিডিও টুইট করেছেন বলেই দাবি জগদীপ ধনকরের।
রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত নতুন নয়। নবান্ন এবং রাজভবনের মধ্যে টুইট কিংবা পত্রবোমা আদানপ্রদান চলতেই থাকে। গত ১৫ জুলাই নবান্নে রাজ্যপালের আচরণ নিয়ে চূড়ান্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেও ধনকড়কে আক্রমণ করতে ছাড়েননি তিনি। আরও একবার ভিডিও বার্তা টুইট করে সংঘাতের আগুনে ঘি ঢাললেন রাজ্যপাল।