লক্ষ্মীপুজোর কেনাকাটায় ব্যাপক ভিড় বাজারে, মূর্তি ও ফলের দাম আকাশছোঁয়া

শ্যামল কান্তি বিশ্বাস, কল্যাণী: অধিকাংশ হিন্দু পরিবারেই লক্ষ্মীপুজোর প্রচলন রয়েছে। সব পরিবারই চায়, ধনদেবীকে মনপ্রাণে পুজো অর্চনার মধ্যদিয়ে গৃহমন্দিরে প্রতিষ্ঠা করতে। প্রতিটি পরিবারেই তাই আন্তরিকতা সহ আয়োজনে ত্রুটি রাখতে নারাজ। বিগ্ৰহ সহ দশকর্মা দ্রব্যাদির পাশাপাশি ফলফলাদি কেনাকাটায় দরাজ হস্ত। কিন্তু পুজোর বাজার আগুন, যেন হাত দিলেই সেকা লাগছে। মূর্তি সহ দশকর্মা ভান্ডারের উপকরণ সহ ফলফলাদি যথাক্রমে শশা,কমলা লেবু মৌসম্মী লেবু,ডাব,নারকেল,পাকা কলা,তরমুজ,পেয়ারা,পাকা পেঁপে,আপেল, আঙ্গুল,শাক আলু, বাতাবি লেবু, ন্যাসপাতি, বিলাতি খেজুর, আখ, মিষ্টি আলু সহ গুড়, তিনি বাতাসা, বোদে সহ মিষ্টান্ন দ্রব্যাদির পাশাপাশি পদ্মফুল সহ যাবতীয় পুজোর উপকরণ ক্রয়ের ক্ষেত্রে বাজার ছাড়া ডাবল দামে কিনতে হচ্ছে আজ কিন্তু উপায় নেই পুজো বলে কথা? কিনতেই হবে।
কথা হল,রামনগর ২ নং গ্ৰাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান মলয় ঠাকুরের সঙ্গে, তিনি জানালেন,পুজোর উপকরণ সহ ফল প্রসাদাদির দাম আকাশছোঁয়া হলেও কিছু করার নেই মায়ের পুজো, করতেই হবে।এক ই কথা শোনা গেল,ময়ুরহাট ১ নং গ্ৰাম পঞ্চায়েত প্রধান রামপদ ঘোষের মুখে। তিনি ও জানালেন, লক্ষ্মীপুজো পারিবারিক মাঙ্গলিক বিষয়, বংশপরম্পরায় বাড়িতে মায়ের পুজো হয়ে আসছে,নিয়ম নীতির কোন পরিবর্তন করা হচ্ছেনা, বাড়িতে ঘরোনা পরিবেশে প্রতিবারের ন্যায় এবারও পুজো হচ্ছে তবে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে।
লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের অধীন যাত্রাপুরে সুবিশাল আয়োজন করে থাকে স্থানীয় লক্ষ্মীপুজো উদ্দোক্তা কমিটির পক্ষ থেকে,এ বছর ও পুজো হচ্ছে তবে করোনা আবহে সরকারি নিয়ম বিধি মেনে। রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের অধীন মদনা আদিবাসী নাগরিকবৃন্দ আয়োজিত লক্ষ্মীপুজো এলাকার জনমানসে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে থাকে।পুজোকে কেন্দ্র করে মেলা সহ গান বাজনার আসর বসে থাকে।এবছর করোনা আবহে অনুষ্ঠানে অনেক কাটছাঁট করা হয়েছে বলে জানালেন, অন্যতম উদ্যোক্তা মন্টু কুজুর।