উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে শুরু হল প্লাজমা প্রদান প্রক্রিয়া

কৃষ্ণা দাস, শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আজ থেকে প্লাজমা প্রদান প্রক্রিয়া শুরু হল। একটি শিবিরের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এদিন এই প্লাজমা প্রদান প্রক্রিয়া শুরু হয়। ডাক্তার অনির্বাণ রায় প্রথম প্লাজমা দান করেন। এদিন আরও প্রায় ১৫ জন প্লাজমা দান করেন। এদিনের প্লাজমা প্রদান শিবিরে জেলাশাসক এস পুন্নমবলম, করোনা মোকাবিলায় উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ আধিকারিক (ওএসডি) সুশান্ত রায়, মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ কৌশিক সমাজদার, সিএমওএইচ(১) তুলসী প্রামাণিক, মহকুমাশাসক সুমন্ত সহায় সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ডীন সন্দীপ সেনগুপ্ত জানান কোভিদ চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন প্লাজমা থেরাপির একটা ভূমিকা থাকতে পারে। বিভিন্ন জায়গায় তার পরীক্ষা মূলক প্রক্রিয়া চলছে। আমেরিক সহ দিল্লি এবং কলকাতাতেও চলছে। ইতিমধ্যে কলকাতায় রাজ্যে প্রথম প্লাজমা ব্যাঙ্ক স্থাপিত হয়েছে। তারপর স্বাস্থ্য দপ্তরের উদ্যোগে কোভিড কেয়ার নেটওয়ার্ক সহ বিভিন্ন জেলা থেকে দাবি করা হয়েছিল সেই দাবি মান্যতা দিয়ে রাজ্যের কুড়িটি কম্পোনেন্টস সেপারেশন ইউনিটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্লাজমা সংগ্রহ করার জন্য। তারই একটা হল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। সংগৃহিত এই প্লাজমা করোনা আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের সুস্থতার জন্য প্রয়োগ করা হবে। তবে সবাই এই প্লাজমা প্রদান করতে পারবে না। করোনা আক্রান্ত রোগীরা সুস্থতা লাভ করার ২৮ দিন থেকে শুরু করে চার মাস পর্যন্ত প্লাজমা দান করতে পারেন। তার বয়েস হতে হবে ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। মহিলদের ক্ষেত্রে যারা সন্তান ধারণ করেন নি। তবে এখনই প্লাজমা থেরাপি শিলিগুড়িতে শুরু হচ্ছ না বলে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রবীর কুমার দেব।
তিনি আরও জানান, আপাতাত প্লাজমা সংগ্রহ করে রাখা হচ্ছে ব্লাড ব্যাঙ্কে। অ্যান্টিবডিক কীট আসার পর পরীক্ষা করে তারপরই এর প্রয়োগ শুরু হবে। তবে এখনই প্লাজমা থেরাপি শুরু না হলেও প্লাজমা ব্যাঙ্কের ভীষন প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে জানান ডীন সন্দীপ সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, “করোনা রোগীকে সুস্থ করতে প্লাজমা থেরাপি চালু হয়ে গেলে একই রক্তের গ্রুপের চার থেকে ছয় ইউনিট প্লাজমা দরকার পড়বে জন প্রতি। তখন এই ব্লাড ব্যাঙ্কের প্রচুর প্রয়োজনীয়তা পড়বে। আমরা জেলা প্রশাসনের সহায়তা নেব। একটা লিস্ট তৈরী করতে হবে কারা কবপ করোনা মুক্ত হয়েছে। তাদেরও প্লাজমা প্রদানের জন্য আবেদন জানানো হবে। “