সাত সকালে তীব্র বিস্ফোরণে উড়ে গেল বেলেঘাটার ক্লাবের ছাদ, বোমার প্রাথমিক প্রমাণ পেল ফরেনসিক টিম

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সাতসকালে আচমকাই প্রবল বিস্ফোরণের শব্দ। মঙ্গলবার সকাল ৭ টা নাগাদ পাড়া কাঁপানো আওয়াজে চমকে ওঠেন বেলেঘাটার গান্ধী ময়দান এলাকার বাসিন্দারা। জানা যায়, বিস্ফোরণ ঘটেছে বেলেঘাটা মেন রোডে বেলেঘাটা গাঁধী ময়দান ফ্রেন্ডস সার্কলের দোতলার ঘরে। আর বিস্ফোরণের অভিঘাতে উড়ে গিয়েছে ক্লাবের দেওয়াল ও ছাদ।
ঘটনার পর প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, ক্লাবের দোতলার ওই ঘরে কোনও ধরনের বিস্ফোরক রাখা ছিল। যদিও প্রথমে সেই দাবি মানতে নারাজ ছিলেন ক্লাবের সদস্যদের একাংশ। তাদের দাবি ছিল, ওপরের ঘরে সিলিণ্ডার রাখা ছিল। কোনওভাবে সেই সিলিণ্ডার ফেটে গিয়েছে। আবার আরেকাংশ দাবি করেন, বাইরে থেকে কেউ বোমা ছুঁড়ে পালিয়ে গিয়েছে। যদিও এ দিন দুপুরেই ফরেনসিক টিম এসে ঘটনাস্থল পরীক্ষা করে প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে বোমার সামগ্রীরই প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর পরিমাণে স্প্লিন্টার বাজেয়াপ্ত হয়েছে। পাওয়া গিয়েছে সালফার অ্যামোনিয়ামের নমুনাও। তবে বিস্ফোরণের তীব্রতা কম ছিল বলেই বড়সড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি।
মঙ্গলবার সাতসকালে বিকট আওয়াজে ঘুম ছুটেছিল বেলেঘাটার গান্ধীভবন এলাকার বাসিন্দাদের। ভয়াবহ বিস্ফোরণে উড়ে যায় তিনতলার বাড়ির ছাদ। বিস্ফোরণের জন্য দেয়ালে পড়ে যায় কালো ছোপ চিড় ধরে আশেপাশের বাড়িতেও। ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। খবর পৌঁছতেই ঘটনাস্থলে যায় ডিসি ই এস ডি অজয় প্রসাদ।
এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, ক্লাবটি স্থানীয় তৃণমূল নেতা ‘রাজু নস্করের ক্লাব’ বলেই পরিচিত। তোলাবাজি, বোমাবাজি, গুলি চালানোর মতো অপরাধে এর আগে বেশ কয়েকবার গ্রেফতার হয়েছে সে। তবে কিছুদিন বাদে জামিনে মুক্ত হয়ে গিয়েছে। যদিও তার সঙ্গে এই ঘটনার কোনও যোগসূত্র আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।