বিধায়কের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকেই বন্ধ দোকান, সমস্যায় বিন্দোলের দোকান মালিক

মৃন্ময় বসাক, হেমতাবাদ: দোকানের বারান্দা থেকে বিধায়কের ধুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের প্রায় দেড় মাস অতিক্রান্ত হবার পরও তদন্তের সুবিধার জন্য দোকানের সামনে পুলিশ ঘিরে রাখায় দোকান খুলতে পারছেন না মোবাইলের দোকানদার কুতুব আলী। পুলিশ প্রাসনের কাছে দোকানের সামনের অংশ ঘেরামুক্ত করার আবেদন জানিয়েও কোনো অনুমতি মেলেনি বলে অভিযোগ করেছেন ওই দোকান মালিক।
উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবেন মোড়। এই মোড়েই মোবাইল এর ব্যবসা করতেন কুতুব আলী নামে এক বাসিন্দা। গত ১৩ জুলাই এই দোকানের সামনেই ঝুলন্ত অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয়েছিল হেমতাবাদ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্র নাথ রায়ের।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে যায়। ঘটনার পরই পুলিশ এলাকাটি ঘিরে দিয়েছিল। রাজ্য সরকার ঘটনার তদন্তের ভার দেয় সিআইডি কে। ঘটনার পর প্রায় দের মাস কেটে গেলেও আজও সেই দোকান খোলার অনুমতি দেয়নি সিআইডি।
বিন্দোলের বালিয়া গ্রামের একমাত্র মোবাইল রিচার্জ, মোবাইল রিপেয়ারিং এবং নতুন ফ্যান বিক্রি এবং মেরামতির দোকান। এই দোকান বন্ধ থাকায় এলাকার মানুষকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে বিন্দোল গ্রামে যেতে হচ্ছে। ছোট্ট দোকান চালিয়ে সংসার চালাতেন কুতুব আলী। দোকান বন্ধ থাকায় তার সংসার চালানোই দুস্কর হয়ে পড়েছে। দোকান খোলার অনুমতি নিতে একাধিকবার পুলিশ এবং সিআইডি দ্বারস্থ হলেও সেখান থেকে আজও দোকান খোলার অনুমতি মেলেনি। গরমের সময় ফ্যানের ব্যবসা তুঙ্গে থাকে। এবারে তার দোকান বন্ধ থাকায় ব্যবসা পুরোপুরি বন্ধ। কবে দোকান খোলার অনুমতি পাবেন তারও কোন আশ্বাসবানি কেউ দেননি।
এলাকার ব্যবসায়ীদের দাবি ঘটনার তদন্ত সি আই ডি যেমনভাবে করছে করুক। কুতুবকে দোকান খোলার অনুমতি দিক। সিআইডি দোকান খোলার অনুমতি দিলে পরিবারটা বেঁচে যাবে এছাড়াও দীর্ঘ দেড় মাস দোকান বন্ধ করার জন্য তার ক্ষতিপূরন প্রশাসনের কাছে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।