১০৮ টি নর মুন্ডুর খুলি সাজানো কালী মন্দিরের মায়ের কাছে

বাবলু প্রামানিক, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মন্দিরবাজার থানা এলাকায় দক্ষিণ বিষ্ণুপুর মহা শ্মশান এক সময়ে ঘন জঙ্গল এ ঘেরা ছিল। বহু প্রাচীন কালে বিষ্ণুপুরের এই মহা শ্বশানে কালী পুজোর সময় জাগ্রত শ্মশান কালীর পুজো হত। এক সময়ে এই কালী পুজোর সময় বহু দূর দুরন্ত থেকে তান্ত্রিক ও সাধু সন্নাসীরা আসত শ্মশান কালীর পুজো করতে। আজ থেকে ১০৭ বছর আগে এই শ্মশানের পাশে চক্রবর্তী বাড়িতে কালী পুজো চলাকালীন মা স্বপ্নে দেখা দেয়। তখন মা নির্দেশ দেয় যে আমাকে তোরা বাড়িতে পুজো করলে আমি সন্তুষ্ট হবনা। তোরা আমাকে বিষ্ণুপুর মহা শ্মশানের পাশে জঙ্গল কেটে মন্দির প্রতিষ্ঠা করে দুবেলা পুজো করলে তবেই আমি সন্তুষ্ট হব। তারপর থেকে মন্দির প্রতিষ্ঠা করে মা কালীর বিগ্রহ বসিয়ে সকাল সন্ধ্যায় দুবেলা পুজো আরতী হয়।
বর্তমানে এই মন্দিরের পুরোহিত শ্যামল চক্রবর্তী। প্রায় ৬৪ বছর ধরে এই মন্দিরে পুজো থেকে সকল কাজকর্ম শ্যামল বাবু করেন। এই মন্দিরের বিশেষ বৈশিষ্ট্য মায়ের মূর্তির পিছনে ১০৮টি নর মুন্ডুর খুলি থরে থরে সাজানো রয়েছে। এই নর মুণ্ডুর খুলিগুলো তন্ত্র সাধনার কাজে ব্যবহার হত। মায়ের সামনে পঞ্চ মুন্ডির আসনে বসে পুজো ও তন্ত্র সাধনা করা হয়। দক্ষিন ২৪ পরগনার সবচেয়ে বড় তন্ত্র সাধনা করার পীঠস্থান হল মন্দির বাজার থানার দক্ষিন বিষ্ণুপুর কালী মন্দির।
প্রতিবছর কালী পুজোয় দূর দূরান্ত থেকে ২৫ থেকে ৩০ হাজার ভক্ত সমাগম হয়। তবে এবার করোনা আবহে সে ভাবে ভক্তরা নাও আসতে পারে কিন্তু মায়ের পুজো জাকজমক ভাবে হবে। মন্দির কমিটি থেকে জানা যায় কালী পুজোর দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত স্যানিটাইজার করা হবে। মাস্ক দেওয়া হবে। সব ভক্তরা যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলে সেটাও গুরুত্ব সহকারে দেখবে মন্দির কমিটি।