শ্বশুরবাড়ির লোকদের হাতে মার খেয়ে অপমানে আত্মঘাতী জামাই

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালনা: সাংসারিক অশান্তির জেরে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের হাতে মার। সেই অপমানেই আত্মঘাতী হল এক যুবক। মৃত যুবকের নাম অর্জুন দেবনাথ। তার বাড়ি নাদনঘাট থানার অন্তর্গত ভাতশালা গ্রামে। আর এমনিই অভিযোগ উঠেছে তার পরিবারের পক্ষ থেকে। কারণ মৃত্যুর আগে সেই অপমানের বিচার চেয়ে মোবাইলে রেকর্ডিং করে ওই যুবক। ভিডিওতে তাঁর মৃত্যুর জন্য শ্বশুরবাড়ির লোক এবং তার স্ত্রীকেই দায়ী করে আত্মঘাতী হয়।
স্থানীয় ও পুলিশসূত্রে জানা যায় যে, কালনার নাদনঘাট থানার অন্তর্গত ভাতশালা গ্রামের বাসিন্দা পেশায় হোটেল কর্মী অর্জুন দেবনাথ এর সাথে বেশ কয়েক মাস ধরে স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্যের জেরে স্ত্রী পাশের গ্রামে বাপের বাড়িতে থাকছিলেন। দিন কয়েক আগে ফের স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্যের জেরে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা এসে অর্জুনকে তার নিজের বাড়িতে ঢুকে ব্যাপক মারধর করে এমনিই অভিযোগ তোলেন তার পরিবার।সেই ঘটনার পরই ভেঙে পড়েছিল অর্জুন। আর এই ঘটনার বিচার চেয়ে এর পরেই নিজের মোবাইলে মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করে একটি ভিডিও বানানোর পরই গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয় ওই যুবক।
মৃতের বাবা দ্বিজেন দেবনাথ বৌদি মণিকা দেবনাথ বলেন, ‘ শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের মারধরের জেরেই অপমানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে।’এ ই ঘটনার পর শোকের ছায়া নামে ভাতশালায় এলাকায়। নাদনঘাট থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে কালনা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।