গান স্যালুট ও চোখের জলে বিদায় জানালো মুর্শিদাবাদের দুই শহীদ জওয়ানকে
কৌশিক অধিকারী, বহরমপুর: শনিবার গান স্যালুট ও চোখের জলে শেষ বিদায় জানালো মুর্শিদাবাদ জেলার দুই ভুমিপুত্র শহীদকে। মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গী ও রেজিনগর গ্রামে দুই শহীদের নিথর কফিনবন্দি মৃতদেহ বাড়িতে আসতেই শোকের ছায়া নেমে আসে, গান স্যালুট ও চোখের জলে শেষ বিদায় জানালো গ্রামের বাসিন্দারা।
শনিবার সকালে মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গীতে শহীদ জওয়ান কফিন বন্দি রানা মন্ডলের নিথর দেহ ফিরল বাড়িতে । গত ২০ মে বুধবার বিকেলে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গী থানার সাহেবরামপুরের বাসিন্দা রানা মন্ডল কাশ্মিরের শ্রীনগরে জঙ্গিদের গুলিতে শহীদ হন। বিএসএফ কনস্টেবল রানা মন্ডলের আজ তার মৃতদেহ এসে পৌঁছায় জলঙ্গীর সাহেবরামপুরে। আত্মীয় স্বজন চোখের জলে শোকের ছায়া গোটা পরিবারে। সামনেই খুশির ঈদ, ঈদের আগে নিথর দেহ ফিরতেই গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে।
আরও পড়ুন: কাঁথিতে পানীয় জল ও বিদ্যুৎতের দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ স্থানীয়দের
অন্যদিকে, পবিত্র রমজান মাস চললেও করোনার জেরে লকডাউনের কারনে ভাটা পড়েছে খুশির ঈদে। তারই মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এলো রেজিনগর থানার গোপালপুর গ্রামে। কাশ্মীরের শ্রীনগরে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন বিএসএফ জওয়ান। ঈদ উপলক্ষে বাজার গিয়েছিলেন জিয়াউর হক ওনার এক সঙ্গীকে নিয়ে। কারনে কিছুদিনের মধ্যেই ঈদ উপলক্ষে বাড়ি আসতেন ছুটিতে। হঠাৎই জঙ্গি হানায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় জিয়াউরের। ব্যটেলিয়ানে ৩৭নং -র জাওয়ান ছিলেন জিয়াউর হক (৩৫)। ১৩ বছর বয়সে চাকরীতে যোগ দিয়েছিলেন। পরিবারে রয়েছে ওনার স্ত্রী, দুই মেয়ে জেসমিন চার বছর ও আনিষা আড়াই বছর বয়স এবং ওনার বৃদ্ধ মা বাবা। রেজিনগর থানার গোপালপুরে শনিবার সকাল ৭ টা নাগাদ ওনার দেহ কফিন বন্দি অবস্থায় বাড়িতে এসে পোঁছায়। সেনা জওয়ান জিয়াউর হকের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার পর গানস্যালুট দেওয়া হয় সকাল ৯ টার সময়। তারপর ঐ গ্রামেই মাটি দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন জিয়াউরের সাথে কর্মরত বিএসএফ জওয়ানরা এবং রেজিনগর থানার পুলিশ প্রশাসন।
মুর্শিদাবাদ জেলার দুই ভুমিপুত্র শহীদের শেষকৃর্ত্য পরেই ঈদের আগে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা গ্রাম জুড়ে। জঙ্গিদের শাস্তি দাবি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা ।