
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বাজি নিয়ে হাইকোর্টের ভৎসনার মুখে রাজ্য সরকার। আদালতের নির্দেশের পরেও বাজির রমরমা কিভাবে ? মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ল রাজ্য সরকার। পাশাপাশি, রাজ্য জুড়ে আতশবাজি পোড়ানো ও বিক্রি নিয়ে রাজ্য প্রশাসনকে আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
এদিন মামলার শুনানিতে রাজের কাছে ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চায়, হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে এখনও বাজারে বাজি পাওয়া যাচ্ছে। আদালতের নির্দেশের পরেও বাজির রমরমা কিভাবে ? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি। এ বিষয়ে ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, আদালত নির্দেশ দিতে পারে। কিন্তু সেই নির্দেশকে পালন করার দায়িত্ব পুলিশ প্রশাসনের। এবিষয়ে আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পরেই প্রশাসনের উচিত ছিল পুলিশের একটি বিশেষ টিম দিয়ে নজরদারি চালানো। এনিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এছাড়াও ডিভিশন বেঞ্চ বাজি সংক্রান্ত বিষয়ে সাধারণ মানুষের অভিযোগ জানানোর জন্য ১২ নভেম্বরের মধ্যে একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যকে। পাশাপাশি, কলকাতা পৌরনিগমের এবং রাজ্যের অন্যান্য পুরসভা এলাকায় পৌর প্রতিনিধিদের পাড়ায় পাড়ায় প্রচার চালানোর নির্দেশও দিয়েছে আদালত। এদিন মামলার শুনানিতে রাজ্যের আবেদন, আদালত এ বিষয়ে রাজ্য প্রশাসনের উপর ভরসা রাখুক রাজ্য প্রশাসন এনিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
তার প্রেক্ষিতে ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, যদিও আদালতের ইচ্ছা ছিল যে বাজি নির্দেশের অন্যথা হলে সংশ্লিষ্ট ডিএম, এসপি, সিপি দায়ী থাকবেন। কিন্তু রাজ্য চাইছে যে আদালত প্রশাসনের ওপর ভরসা রাখুক। তাই আমরা প্রশাসনের ওপর দায় চাপাচ্ছি না। তবে আদালতের নির্দেশ কড়া ভাবে মানতে হবে বলে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।