করোনা হাসপাতালগুলিতে মোবাইল ফোন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে রাজ্যের কাছে তথ্য সহ ব্যাখ্যা তলব হাইকোর্টের
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কিসের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের করোনা হাসপাতালগুলোতে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল, তার কারণ জানতে চেয়ে রাজ্যের কাছে তথ্য সহ ব্যাখ্যা তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট।
এই সংক্রান্ত বিষয়ে সব কটি জনস্বার্থ মামলার একই সঙ্গে শুনানিতে রাজ্যকে ব্যাখ্যা দিতে হবে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করণ নায়ার রাধাকৃষ্ণাণ ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৬ মে।
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল রাতে রাজ্যের করোনা হাসপাতালগুলিতে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধকরণ নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে নবান্নে তরফে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, রাজ্যের সমস্ত জেলার জেলাশাসক, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং করোনা হাসপাতালের সুপারদের এই মর্মে নির্দেশিকাও পাঠানো হয়। রাজ্যের এই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে।
মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) য়ের এইরকম কোনও গাইডলাইন আছে কিনা তা জানতে চায় আদালত। এর প্রেক্ষিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত এই সংক্রান্ত মামলাগুলো এক সঙ্গে শুনানির আবেদন জানান। সেই শুনানিতেই রাজ্যের বক্তব্য আদালতে পেশ করার কথা জানান তিনি। রাজ্যের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ আদালতের। এবং মামলাগুলি একইসঙ্গে শুনানির জন্য ধার্য করেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
উল্লেখ্য, এই সংক্রান্ত প্রথম মামলা দায়ের করেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং।পরে রাজ্যের জারি করা বিজ্ঞপ্তি খারিজের আবেদনে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। এছাড়াও এই একই আবেদনে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ ও জয়মিন রাজনী একজন ডকুমেন্টারি ফিল্ম মেকার সহ অন্যান্যরা।
তাদের আইনজীবিদের বক্তব্য, রাজ্য সরকার তথ্য গোপনের আরও একধাপ এগিয়ে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এর মাধ্যমে হাসপাতালের মধ্যে যে দুর্নীতি গুলো ঘটে চলেছে তার বাইরে আসবে না। রাজ্য সরকার সম্পূর্ণভাবে পরিকল্পনা করে তথ্য গোপন করছে। এছাড়াও, হু’য়ের গাইডলাইনে কোথাও মোবাইল নিষিদ্ধ করার কথা উল্লেখ নেই। বরং করোনা আক্রান্তরা আইসোলেশনে থাকাকালীন তারা যাতে পরিবারের সঙ্গে ও সমাজের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতে পারে সেজন্য বেশি করে সামাজিক মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা বলা আছে।