fbpx
পশ্চিমবঙ্গহেডলাইন

বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন না করে সঞ্চিত অর্থ সুন্দরবনের দুর্গতদের দিলেন শিক্ষক দম্পতি

শ‍্যাম বিশ্বাস, উওর ২৪ পরগনা: বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন না করে সেই টাকা সুন্দরবনের দুর্গতদের দিলেন শিক্ষক দম্পতি। তবে তারা মুখ্যমন্ত্রী কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে এই কাজ করেছেন তবে জানিয়েছেন ওই শিক্ষক দম্পতি। বসিরহাট মহাকুমার বসিরহাট পৌরসভার ৬ নম্বরওয়ার্ডে মুনসেপ পাড়ার বাসিন্দা শিক্ষিকা ডেসদিমনা মল্লিক ও স্বামী সুবীর মল্লিক জুনের ৭ তারিখে তাদের প্রতি বছর বিবাহ বার্ষিকী পালন করেন। ধুমধাম সাড়ম্বরে ভুরিভোজ আনন্দের মধ্য দিয়ে এই দিনটি উপভোগ করেন। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরতে যান। একদিকে সেটা বন্ধ করে সেই অর্থ পাশাপাশি শিক্ষকদের সঞ্চিত অর্থের মধ্য দিয়ে লাগাতার সুন্দরবন বিধ্বস্ত এলাকা সন্দেশখালি, শিতুলিয়া, হিঙ্গলগঞ্জ, ঘুনি, মিনাখা, মল্লিক ঘেরি বিস্তীর্ণ এলাকায় দুর্গত মানুষের পাশে। নিজেরাই চাল ডাল আলু জলের বোতল স‍্যানিটাইজার ও মাক্স বিতরণ কোরলেন। তার পাশাপাশি যেসব স্কুলপড়ুয়া দের বই খাতা নদীর জলে ভেসে গেছে তাদেরকে বিভিন্ন শ্রেণীর খাতা পেন বই পড়াশোনার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে তুলে দেন।

আরও পড়ুন: পৈলানে প্রকাশ‍্য দিবালোকে খুনের চেষ্টা

এদের পাশাপাশি সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন সুভেন্দু, নিতাই, ইন্দ্রদীপ, দিলীপ, পিন্টু রা এরাও এগিয়েছে দুর্গতদের পাশে, যতদিন পর্যন্ত তাদের সাধ্য থাকবে ততদিন পর্যন্ত তারা এই দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করবো। বাংলার বড় বিপর্যয়ের মধ্যে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন এই বিপর্যয়ের মধ্য সবাইকে এগিয়ে আসতে তার কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে গোপালপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাও স্বামী শিক্ষক দম্পতি এগিয়ে এসেছেন। পাশাপাশি যেভাবে বহু মানুষ এখনো ত্রাণশিবিরে, কেউ আবার বাঁধের উপর রয়েছে, কেউবা আবার সরকারি স্কুল বাড়িতে। খাদ্য বাসস্থান পানিওজল সংকট তো আছে। তাই একদিকে মুখ্যমন্ত্রী আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে, অন্যদিকে নিজেদের সঞ্চিত অর্থ বিবাহ বার্ষিকী পালনের বরাদ্দ অর্থ দিয়ে লাগাতার সুন্দরবনের দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তারা বলেন, যতদিন পর্যন্ত এইসব এলাকার মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে না আসা পর্যন্ত তাদের সাধ্যমত তারা এই কাজ করে যাবেন। কখনো পায়ে হেঁটে, কখনো মোটরসাইকেল আবার কখনো চারচাকা গাড়ি ভাড়া করে ত্রাণ নিয়ে পাড়ি দিচ্ছে সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে। দিন‌ও রাত এক করে চলেছে শিক্ষক দম্পতি। তারা জানিয়েছেন, সবাইকে এগিয়ে আসছে সবাই মিলিতভাবে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে। আমাদের দিকে কেউ অনুপ্রাণিত হলে আমরা কৃতজ্ঞ থাকবো এই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতেই হবে।

Related Articles

Back to top button
Close