অনুপ্রবেশের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে উঁচু করা হচ্ছে দেওয়াল, নবান্নে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ নিষেধ

যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে এক ব্যক্তির অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। নিরাপত্তা প্রশ্ন উঠেছে। ফলে একাধিক রদবদল হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে ও নবান্নে। বেড়েছে কড়াকড়ি।
এবার থেকে নবান্নে আর মোবাইল ফোন নিয়ে ঢোকা যাবে না। এমনকী তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন যে রক্ষীরা, তাঁরাও মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না। সোমবার নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। গত শনিবার রাতে যাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তাঁদের বদলি করা হয় একজন ইন্সপেক্টর, সার্জেন্ট, দুজন কনস্টেবলসহ কলকাতা পুলিশের ১৫ জনকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে ঢুকে পড়েছিলেন রড হাতে এক ব্যক্তি। ওই উচ্চ নিরাপত্তার মধ্যেই সেখানে সাত ঘণ্টা কাটিয়ে দেওয়ার পরে ধরা পড়েন লোকটি। প্রথমে তার নাম পরিচয় কিছু জানা যায়নি। পরে জানা যায় তার নাম হাফিজুল মোল্লা। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদের নারায়ণপুরে। বয়স ৩১ বছর। সোমবার ধৃত যুবকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৫৮ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ক্ষতিকারক উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে অনুপ্রবেশের অভিযোগ আনা হয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে। সোমবার তাঁকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্তকে ১১ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
এর পরেই কড়াকড়ি বাড়িয়ে দেওয়া হয়। সোমবারের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পাশাপাশি নবান্নেও নিরাপত্তা ঢেলে সাজানো হবে। নবান্নের নির্দেশ, অফিসে মোবাইল ফোন নিয়ে ঢুকতে পারবেন না কর্মীরাও। নবান্নে এবং মুখ্যমন্ত্রী কালীঘাটের বাড়িতে ঢোকা এবং বের হওয়ার সময় নাম নথিভুক্ত করার ব্যবস্থা ছিল। তাতেও কিছু ঘাটতি চোখে পড়ায় সেখানে তথ্য নথিভুক্তকরণের পদ্ধতিও বদলানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়ির দেয়ালও উঁচু করা হচ্ছে।