বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে মহানন্দা নদীর জল

মিল্টন পাল, মালদা: বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে মহানন্দা নদীর জল। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গঙ্গা ফুলহারের জল। মহানন্দার জলে প্লাবিত মালদার চাঁচোলের মথুরাপুর, গালিমপুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। জল ঢুকে পড়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। মানুষের বাড়িতে ঢুকে পড়েছে জল। জলবন্দি অবস্থায় রয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। প্রশাসনের বিরুদ্ধে উঠছে উদাসীনতার অভিযোগ।
জানা গিয়েছে যে, মতিহারপুর গ্রামপঞ্চায়েতে প্রায় ৩০ হাজার লোকের বসবাস। ইতিমধ্যে মহানন্দার জল বৃদ্ধির ফলে প্লাবিত হয়েছে প্রায় ১০,০০০ মানুষ। জল ঢুকে পড়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ও উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। মানুষের বাড়িতে ঢুকে পড়েছে জল। নদী তীরবর্তী এলাকায় চাষের জমিতে জল ঢুকে পড়েছে। যার ফলে প্রচুর ক্ষতির স্বীকার হয়েছে চাষীরা। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির ফলে বিগত কয়েকদিন ধরেই বাড়ছিল মহানন্দা নদীর জল। সাধারণ মানুষ কোন রকমে নিজেদের উদ্যোগে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। ত্রাণ নিয়ে এলাকায় চলছে ক্ষোভ। জলে প্লাবিত হলেও প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। জলবন্দী এলাকার বাসিন্দা আইনুল শেখ বলেন, ‘তিনদিন ধরে গ্রামে মহানন্দার জল ঢুকেছে অথচ প্রশাসনের কোনও দেখা নেই। গ্রামের মানুষ নিজেদের উদ্যোগে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। নেই কোন ত্রাণ। যে ভাবে জল বাড়ছে তাতে আমরা আতঙ্কিত। সব ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন- জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে এক ভাইকে কোপালো অপর ভাই]
স্থানীয় মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান পপি দাস বলেন, মানুষের জন্য স্কুলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করে বিডিওকে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধারকার্য ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করার জন্য।
বিজেপির মালদা জেলার সহ-সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, শাসক দলের নেতা মাথারা কোন কাজ করে না। আর যার ফলে নদীর জলে গ্রামের মানুষ প্লাবিত হলেও জনপ্রতিনিধিদের দেখা নেই। নেই ত্রাণের ব্যবস্থা। এই পরিস্থিতিতে মানুষ দিশেহারা। জরুরী ভিত্তিতে উদ্ধারকার্য শুরু করার জন্য ব্লক প্রশাসনকে বলা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।