করোনা প্রতিরোধে শিলিগুড়ির হোলসেল মাছ বাজার ৭ দিন বন্ধ, নজর অন্য বাজারেও

সঞ্জিত সেনগুপ্ত, শিলিগুড়ি: করোনা প্রতিরোধে শিলিগুড়িতে এবার বাজারগুলির উপর বাড়তি নজরদারির সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। শুক্রবার থেকে সাত দিনের জন্য বন্ধ হয়ে গেল শিলিগুড়ি রেগুলেটেড মার্কেটের মাছ বাজার। সেই সুযোগে শহরের বাকি বাজারগুলিতে ক্রেতা ও বিক্রেতারারডাতে করোনা বিধি কঠোরভাবে মেনে চলেন তার জন্য বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদিন শিলিগুড়ি স্টেট গেস্ট হাউসে দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নমবালম প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে এব্যাপারে এতটি জরুরি বৈঠক করেন। এই বৈঠকেই শহরের বাজারগুলির উপর নজরদারি চারানোর জন্য বিশেষ কমিটি করা হয়। জেরাশাসক জানান, শিলিগুড়ি পুরসভার কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়াকে এই কমিটির মাথায় রাখা হয়েছে। বাজারগুরি ঠিকমতো নিয়ম মেনে চলছে কি না তা তিনি দেখবেন। বাজার থেকে যাতে করোনা সংক্রমণ না ছড়ায় সেটাই প্রধান লক্ষ্য।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের বিশেষ দল প্রায় দেড় মাস আগে শিলিগুড়িতে এসে রেগুলেটেড মার্কেট নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল। তারা জানিয়ে ছিলেন, এধরনের একটি গুরুতাবপূর্ণ বাজারে করোনা প্রতিরোধের ব্যাপারে প্রমাসন ও ব্যবসায়ী কেনও স্তরেই সচেতনতা নেই। করোনা সংক্রমণ শহরে ব্যাপক আকার নিতেই সেই বাজার নিয়ে প্রশাসনের টনক নড়লো।
সম্প্রতি শহরে একের পর এক করোনা সংক্রমণে চিন্তিত প্রশাসন। সংক্রমণের উৎস সন্ধানে নেমে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা দেখেন সম্প্রতি শহরে যতজন আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন এই বাজারের সংস্পর্শে ছিলেন বা এসেছিলেন। সম্প্রতি এই বাজারের একজন মাছ ব্যবসায়ীও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: লেনিনগড়ে অর্জুন সিং-এর হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে যোগ ১৫০ জনের
এ থেকেই জেলা প্রশাসক সিদ্ধান্ত নেয় শুক্রবার থেকে টানা সাতদিন এই বাজার বন্ধ রেখে জীবাণু মুক্ত করা হবে।
শিলিগুড়ি রেগুলেটেড মার্কেটে মাছ ছাড়াও ফল, সবজির হোলসেল বাজার রয়েছে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে পণ্য আমদানী হওয়ার পাশাপাশি এখান থেকে পণ্য শিলিগুড়ি ও তার লাগোয়া এলাকা ছাড়াও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এখান থেকে সব পণ্য যায়।ঙএখানে বিভিন্ন জায়গার মানুষের আসা-যাওয়া রয়েছে। তাইৃ এখান থেকে করোনার সংক্রমনের সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না জেলা প্রশাসন।