ইন্ডিয়া বুক অফ্ রেকর্ড’সে স্বীকৃতি পেল বিস্ময় বালক অদ্রীশ পাল
অদ্রীশের এই বিরল স্বীকৃতি ইন্ডিয়া বুক অফ্ রেকর্ডসের ২০২২ সালের সংস্করণে প্রকাশিত হবে

ভাস্করব্রত পতি, তমলুক: বয়স মাত্র তিন বছর এগারো মাস। আর এইটুকু বয়সেই অদ্রীশ পাল পঁচিশটি কবিতা ও ছড়া সুন্দর বাচনভঙ্গীর সঙ্গে ঝাড়া মুখস্থ বলতে পারে। এছাড়াও ইংরেজীতে সপ্তাহের সাতটি বারের নাম, বারো মাসের নাম গড়গড় করে বলতে পারে অদ্রীশ। এছাড়াও এগারো ধরনের আকৃতির নাম, চৌদ্দ ধরণের রঙের নাম, মানবদেহের ষোলটি অঙ্গের নাম, বারো ধরণের ফল, এগারো ধরণের সবজির নাম বলতে ও চিনতে পারে অদ্রীশ। এছাড়াও কম্পিউটার কী বোর্ডে ইংরেজী বর্ণমালার সব অক্ষর এবং ইংরেজিতে এক থেকে চল্লিশ পর্যন্ত সংখ্যা টাইপ করতে পারে অদ্রীশ। বিরলতম প্রতিভা।
করোনা পরিস্থিতির মাঝেই মাত্র তিন বছর ১১ মাস বয়সে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে ইন্ডিয়া বুক রেকর্ডসে নিজের নাম নথিভুক্ত করে সমগ্র মেদিনীপুর জেলাকে গর্বিত করল কুইকোটার বাসিন্দা বিস্ময়কর খুদে প্রতিভা অদ্রীশ পাল।
উল্লেখ্য, অদ্রীশের এই বিরল স্বীকৃতি ইন্ডিয়া বুক অফ্ রেকর্ডসের ২০২২ সালের সংস্করণে প্রকাশিত হবে।
কয়েক মাস আগেই একটি আন্তর্জাতিক স্তরের অনলাইন আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় সফল হয়ে পুরস্কৃত হয়েছে ছোট্ট অদ্রীশ। লকডাউন ও করোনা আবহে বিভিন্ন অনলাইন ইভেন্টে অংশ নিয়ে অদ্রীশ ৭৬টি শংসাপত্র অর্জন করেছে। এছাড়াও ইতিমধ্যে সে আনন্দপুর মুক্তধারা, বওড়া সারস্বত মেলা, কালিকাপুর সুভাষ মেলা আয়োজিত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা সহ অন্যান্য প্রতিযোগিতায় সাফল্য অর্জন করেছে। তাঁর এই সমস্ত গুণাবলী দেখে তাঁকে মাত্র তিন বছর এগারো মাস বয়সেই স্বীকৃতি দিয়েছে ইন্ডিয়া বুক রেকর্ডস। অবশ্য আনন্দের এই খবরটা অদ্রীশ জেনেছে তাঁর চার বছর পূর্ণ হওয়ার দিনে অর্থাৎ জন্মদিনে। সেদিনই সে হাতে পেয়েছে ইন্ডিয়া বুক অফ্ রেকর্ডসের শংসাপত্র, মেডেল, ব্যা জ, আইডেন্টিটি কার্ড, কলম ও স্টিকার। অদ্রীশের সাফল্যের এই স্বীকৃতিতে খুশি তাঁর বাবা-মা সহ পরিবারের অন্যান্যরা এবং পাড়া প্রতিবেশীরা।
আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগদান কর্মসূচির মঞ্চ ভেঙে দিল দুষ্কৃতীরা, জগন্নাথপুরে চাঞ্চল্য
উল্লেখ্য, এই অল্পবয়সেই নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে নানা পুরস্কার ও শংসাপত্র পেয়েছে অদ্রীশ।অদ্রীশের বাবা তাপসকুমার পাল ও মা অনিন্দিতা মণ্ডল পাল উভয়েই শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত। তাঁর সংস্কৃতিমনষ্ক মা অনিন্দিতা মণ্ডল পালের প্রশিক্ষণেই তাঁর উত্তরণ। ক্ষীরপাই-এর সেন্ট জনস স্কুলের লোয়ার নার্সারির ছাত্র অদ্রীশ।